বাংলাদেশের সম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকাতে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এদিকে সূত্রের খবর, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিতে আসছে পাকিস্তানের সেনা বাহিনী। সামরিক রণকৌশল থেকে উন্নতমানের যুদ্ধাস্ত্রের প্রশিক্ষণ দেবে পাকিস্তানের সেনা। আন্তর্জাতিক মহলে প্রবল আলোচনা চলছে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যুদ্ধ লাগবে কিনা। এরমধ্যে একটা বিষয় মাথাচার দিচ্ছে তা হল অনুপ্রবেশ।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এখনও পর্যন্ত অনেক জায়গা কাঁটাতার নেই। ফলে অনুপ্রবেশ হচ্ছে ভারতে। এই অভিযোগ প্রায়শই বিরোধীদের করতে শোনা যায়। কিন্তু ২৪ ডিসেম্বর বিএসএফের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, ওরা ঢুলে আমরাও তৈরি রয়েছি। যে সমস্ত এলাকাগুলিতে কাঁটাতার নেই, সেই সমস্ত এলাকাগুলিতে অনেকাংশেই নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সেখানে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরাও। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সীমান্তে একাধিক সেনা মোতায়েন করেছে। কড়া প্রহরায় রয়েছে বিএসএফ। এমনকি যুদ্ধক্ষেত্রে প্রস্তুত ভারত। আমদানি করা হয়েছে একাধিক যুদ্ধাস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র। উত্তর-পূর্ব সীমান্তে প্রচুর পরিমাণে সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের চট্টোগ্রাম জেলা সংলগ্ন সীমান্তের কাছেই প্রায় ৩৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বাংলাদেশের তাক করা হয়েছে পিনাকা লগাইডেড মিসাইল। যা রেঞ্জ ৭০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। এদিকে সেনা মোতায়েনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইউনূস সরকারকে। রাফাল তে রয়েছেই। এইবার সামনে এল সুখোই ৫৭। রাশিয়া থেকে ভারত পেতে চলেছে সুখোই ৫৭। যা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং সারা বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী ফাইটার জেট।
এমনকি বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে তারা। বিএশএফের ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরী জানিয়েছেন, যে সমস্ত সীমান্তে এখও পর্যন্ত কাঁটাতার নেই, সেগুলিতে খুব তাড়াতাড়ি কাঁটাতার লাগানো হবে। বেশ কিছু নদীপথ রয়েছে, সেখানেও কাঁটাতার করার সমস্যা রয়েছে। তবে খুব শীঘ্রই সেই সমস্যাগুলি মিটে যাবে। এমনকি তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, যে সমস্ত এলাকাগুলিতে কাঁটাতার নেই, সেখান দিয়ে যে অবাধে যাতায়াত চলছে তা কিন্তু একেবারেই নয়। কারণ, সেখানে ফ্ল্যাক লাইটিং করা হয়েছে, বিএসএফের কড়া নজরদারি চলছে। পাশাপাশি বসানো হয়েছে সিসিটিভি। তবে কিছু অভিযোগও করেছেন বিএসএফের ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরী। রাজ্য সরকার জমি দিতে না রাজি হওয়ায় বেশ কিছু জায়গা অসুরক্ষিত রয়েছে। তেমনও অভিযোগ আনেন তিনি।
এদিকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনও আয়ত্তে আসেনি। লাগাতার সেখানে চলছে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার। পাশাপাশি ইস্কনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর জামিন মেলেনি। কাজেই তাঁর ভক্তরা লাগাতার প্রতিবাদ করছে। তার পাল্টা হিসাবে তাদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ। অনেকেই বলছেন, ইউনূসের উস্কানিতেই এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। তিনি দেশের লাগাম টানতে ব্যর্থ। তার উপর বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সীমান্তে নতুন করে বাংলাদেশকে উদ্বেগ বাড়িয়েছে আরাকান আর্মি। ফলে সবদিক থেকে চাপে ইউনূস।
Discussion about this post