সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাকে জানালেন একাধিক দেশের রাষ্ট্রনেতারা। শুভেচ্ছা জানালেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস । একই সঙ্গে আগামীদিনে আমেরিকা এবং বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলেও বার্তা দিয়েছেন। সে দেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে।
আর তাতে ইউনূস লিখছেন, ” দৃঢ় বিশ্বাস, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচনের জন্য কাজ হবে”। বাংলাদেশ সরকার এবং মানুষের তরফে শুভেচ্ছাও জানান অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস।
ট্রাম্পের শপথের আগের দিন মার্কিন কূটনীতিক মার্শা বার্নিকাটকে পদত্যাগের নির্দেশ নিয়ে বাংলাদেশে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বাংলাদেশে অগস্টের আন্দোলন ও ইউনূসের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার কারিগর ছিলেন এই মার্শা বার্নিকাট। ট্রাম্পের টিম তাঁকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়ার পর দফায় দফায় বৈঠকে বসেন ইউনূস প্রশাসনের কর্তারা।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশ গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন চলাকালীন বাংলাদেশে চলা সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হওয়া নির্যাতন নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ট্রাম্প। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, বাংলাদেশের মাটিতে হিন্দু, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চলছে। দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব চলছে। কখনই এমন ঘটনা বাংলাদেশে ঘটতে পারত না যদি আমার নজরে থাকত।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের বিষয়ে যাবতীয় খুঁটিনাটি দেখতেন মার্কিন কুটনৈতিক মার্শা বার্নিকাট। মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে ইউনূস সরকারের সমন্বয়ের কাজ করতেন তিনি। তাঁকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়ায় ইউনূস প্রশাসন বিপাকে পড়তে চলেছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
প্রথমে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনার দেশত্যাগ। তিনদিনের মাথায় বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন। আর সেই সরকারের মাথায় মহম্মদ ইউনূসের বসা। এর পিছনে নাকি অবদান রয়েছে এক মার্কিন কূটনীতিকের। আমেরিকার মসনদে ডোনাল্ড ট্রাম্প বসার আগেই মার্শা বার্নিকাট নামে ওই মার্কিন কূটনীতিককে পদ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে তাঁর টিম। আর এই খবরে মাথায় হাত পড়তে চলেছে ইউনূস প্রশাসনের।
Discussion about this post