বাংলাদেশে এখন সব চর্চার কেন্দ্রবিন্দু সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। কারণ হটাৎই সেনানিবাসে পর পর কয়েকটি ম্যারাথন বৈঠক। তারপরই সেনাপ্রধান দেশের রাস্তাতে নামিয়েছেন সেনাবাহিনীকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সব আলোচনা সেনানিবাস নিয়ে। আর এর মধ্যে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস এখন চীন সফরে। সেখানে গিয়েছেন, তিস্তা মহাপ্রকল্পের বাস্তবায়ন করতে। আর এখানেই আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে, বর্তমান সময়কে কাজে লাগিয়ে কি সেনাপ্রধান সামরিক শাসন জারি করবে বাংলাদেশে?
বাংলাদেশে সেনাপ্রধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে। দেশের সাধারণ জনগণ ভরসা করে সেনাবাহিনীকে। সেই জায়গায় সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান আস্থাভাজন সাধারণের কাছে। কিন্তু হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর তিনি নিশ্চুপ হয়ে গিয়েছিলেন। পদ্মাপাড়ে চলেছে অরাজকতা। সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা শুধু এপারে বাংলা নয়, বিদেশের মাটিতেও উদ্বিগ্ন হতে দেখা গিয়েছিল বহু মানুষকে। তখনও তিনি চুপ ছিলেন। হঠাৎ মধ্য আফ্রিকা সফর শেষ করে এসে সক্রিয় হন সেনাপ্রধান ওয়াকার। সেনানিবাসে চলে কয়েকটি পরপর বৈঠক। কয়েকজন সেনাকর্তাকে নজরবন্দি করে তিনি। পাশপাশি সেনাবাহিনীকে রাস্তাই নামান। যাতে আইন শৃঙ্খলা বজায় থাকে দেশে। এখানেই রাজনৈতিক মহলের একাংশ ধারণা করছিলেন, যেকোনও মুহূর্তে দেশে সেনা শাসন জারি হতে পারে। আবার কেউ বলছিলেন, যদি সেনা শাসন করার ইচ্ছে থাকত, তবে হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি সেনা শাসন জারি করতেন বাংলাদেশে। কিন্তু সেটি করেননি ওয়াকার। বরং তড়িঘড়ি একটি তদারকি সরকার গঠন করে দেন। কিন্তু পরিস্থিতির বদল ঘটেনি।
সম্প্রতি চীন সফরে গিয়েছেন ইউনূস। আর সেটা কাজে লাগিয়ে সামরিক শাসন জারি করার পথে এগোতে পারেন সেনাপ্রধান। এমনটাই মনে করা হচ্ছিল। আসলে দেশ ও জাতিকে স্থিতিশীল রাখতে কঠোর হাতে দমন করা প্রয়োজন। সেই কারণে ঢাকার যমুনা ভবনে সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন মহম্মদ ইউনূস। শুধু তাই নয়, তাদের বৈঠক চলে বেশ কিছুক্ষণ। অর্থাৎ বাংলাদেশে বাংলাদেশ নিজের আয়ত্তে নিতে গেলে কখনই সেনাপ্রধান তদারকি সরকারের প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসতেন না। বলছেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
তবে ইউনূসের জমানায় বেড়ে উঠেছে জঙ্গি সংগঠনগুলি। যেগুলকে লাগাম টানার কোনও মনোভাবই দেখাননি ইউনূস। শুধু তাই নয়, পুলিশকে সেভাবে দেখা যায়নি রাস্তাতে। শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙ্গা, জ্বালিয়ে দেওয়া, জঙ্গি সংগঠনের নেতাদের জেল থেকে মুক্তি দেওয়া..সবই ঘটেছে ইউনূসের আমলে। অর্থাৎ যদি অপরাধের খতিয়ান দেখা যায়, সেখানে ইউনূস অনেকটা এগিয়ে। এখন তার অনুপস্থিতি কাজে লাগিয়ে যদি কোনওভাবে সেনাপ্রধান বড় পদক্ষেপ করেন, তবে কিছুই করার থাকবে না, তদারকি সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর। এখন দেখার, শেষমেশ কি পরিস্থিতি হয় পদ্মাপাড়ে!
Discussion about this post