বাংলাদেশী পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে বাংলাদেশকে চাপে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এইবার চাপ দিল ভারত। বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করে দিল ভারত। চরম বিপাকে বাংলাদেশ। এইবার কি করবেন মহম্মদ ইউনূস।
জানা যাচ্ছে, ২০২০ সাল থেকে এই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দিত ভারত। তখন শেখ হাসিনা জমানা ছিল। এখন দুই দেশের সম্পর্কের সমীকরণ একেবারে অন্য। ভারত বিদ্বেষ বেড়েছে বাংলাদেশে। যতবার ভারত বন্ধু মনোভাব দেখিয়েছে, ততবার আক্রমণ করেছে বাংলাদেশ। কিছুদিন আগেই আমেরিকা বাংলাদেশে আমদানিকৃত পণ্যের উপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। যদিও সেটা নিয়ে মহম্মদ ইউনূস চিঠি দিয়েছেন। যাতে তিন মাস এই শুল্কের উপর স্থগিত রাখে ট্রাম্প প্রশাসন। অন্যদিকে ইউনূসও জানিয়েছেন, মার্কিন আমদানিকৃত পণ্যের উপর বাংলাদেশের বাজারে ছাড় দেওয়া হবে। ট্রাম্প প্রশাসন থেকে এখন এই চিঠির কি উত্তর আসে, সেটা পরের বিষয়। তবে এখন ভারত যে চাপ সৃষ্টি করছে, তাতে এইবার কি করবেন মহম্মদ ইউনূস, সেটাই দেখার।
আসলে বারেবারে ভারতের উপর বাংলাদেশের শত্রু মনোভাব, যেটা মোটেই ভালো চোখে দেখছে না ভারত। কিছুদিন আগেই
বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম মিথ্যাচার করছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক ঘিরে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন তিনি। এমনটাই অভিযোগ উঠে আসছে তার বিরুদ্ধে। এমনকি অভিযোগ উঠছে, এই বৈঠকে যে যে বিষয় উঠেইনি, সেগুলি নিয়ে নিজের মতো করে মন্তব্য করছেন শফিকুল আলম। কিন্তু কেন? এই মিথ্যে খবর ছড়িয়ে তাদের কি লাভ? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই পোস্ট তিনি করেছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস। কিন্তু ভারত তেমন গুরুত্ব দেয়নি। শেষমেষ বৈঠক হলেও তার ২৪ ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই সংঘাতের বাতাবরণ। বৈঠক শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে যেমন পোস্ট করেন, তেমনভাবে বাংলাদেশের প্রেস সচিব শফিকুল আলমও পোস্ট করেন। সেখানেই বাঁধে গণ্ডগোল। এই বিষয়টি নিয়ে ভারতের বহু গণমাধ্য সরব হয়েছে। এখন এইবার উল্টো চাপ দিতে শুরু করেছে ভারত। এখন বাংলাদেশের ক্ষমতার অলিন্দে থেকে কি করবেন ইউনূস, সেটাই দেখার।
Discussion about this post