দিন দিন তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। এই তীব্র দাবদাহে বেশিরভাগ মানুষই বিভিন্ন রকম শারীরবৃত্তীয় সমস্যায় ভোগেন। মাথা ব্যাথা, ডিহাইড্রেশান, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, হিট র্যাশ, হিট স্ট্রোক, অ্যাজমা ইত্যাদির মত সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই তীব্র গরমে গর্ভবতী মহিলাদের বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন। কারণ, গরমে অন্তসত্ত্বা নারীদের শারীরবৃত্তীয় সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। গর্ভবতী নারীর নিজের স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে, তার গর্ভজাত সন্তানটির স্বাস্থ্যও। তাই বিশেষ কয়েকটি সচেতনতা মেনে চলা দরকার।
শরীর যেনো জলশুণ্য না হয়
এই তীব্র গরমে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ঘাম নিঃসরণ হয়। গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা অনেকটাই বেড়ে যায়। এর ফলে পস্রাবের পরিমাণ কমে গিয়ে শরীরে অস্বস্তি, অবসাদ, ঠোঁট মুখ শুকনো লাগা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে সঠিক পরিমাণ মতন জল খাওয়া প্রয়োজন। বেশিক্ষণ গরম স্থান কিংবা রোদের মধ্যে ঘোরাঘুরি করা একদমই উচিত নয়। তাছাড়া বেশি ব্যায়াম করার অভ্যাসও কমাতে হবে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মতন কয়েকটি হালকা ব্যয়াম করতে পারেন, যার ফলে মা ও সন্তান উভয়ই সুস্থ থাকবে।
সুতির নরম পোশাক ব্যবহার
গরমের সময় সুতির নরম পোশাক ব্যবহার করা দরকার। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলারা সুতির , ঢিলাঢোলা পোশাক পরতে পারেন। কারণ গরমে বেশিরভাগ সময় অ্যালার্জি, চুলকানি, হিট র্যাশ ইত্যাদি হতে পারে। দিনে একাধিক বার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় স্নান করা যেতে পারে। তাতে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
সঠিক খাবার বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত
গর্ভাবস্থায় সঠিক খাবার নির্বাচন করা উচিত । কারণ সঠিক খাবার দাবারের মাধ্যমে গর্ভবতী মা এবং তার গর্ভজাত সন্তান দুইয়ের-ই স্বাস্থ্য নির্ভর করে। বিশেষ করে চা, কফি জাতীয় পানীয় সেবন কম করতে হবে। এই পানীয় গুলি আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে আমাদের স্বাভাবিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতি করে। এছাড়া সবুজ শাকসবজি, সহজপাচ্য খাবার বেশি করে খাওয়া দরকার। কম ক্যালোরি এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার সাথে ভিটামিন সমৃদ্ধ, হালকা মশলা জাতীয় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া যেতে পারে।
পর্যাপ্ত ঘুম
একজন গর্ভবতী মহিলার সবার আগে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আমাদের শরীরে নানা রকম শারীরবৃত্তীয় কাজে অসুবিধা হয়। আবার পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আমাদের গ্রহণ করা খাদ্যও সঠিক ভাবে হজম হয়না। ফলে হজমের গন্ডগোলের মতন একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক নিয়ম অবলম্বন করা দরকার।
গত জুন-জুলাই মাসে যখন বাংলাদেশে কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দলোন চলছে, গোটা বাংলাদেশ যখন হিংসার আগুনে জ্বলছে। তখন থেকেই ভারত বাংলাদেশী...
Read more
Discussion about this post