বাঙালিরা চা খেতে সবসময়ই পছন্দ করে। তবে কফি হলেও মন্দ হয়না।অনেকে চা কে স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী আবার অনেকে কফিকে বেশি উপকারী পানীয় বলে মনে করেন। অনেকে আছেন যারা চা – কফি উভয় খান। তাদেরকে যদি বলা হয় কোনটা বেশি উপকারী কিংবা কোনটিকে ১ নং দেওয়া হবে সেক্ষেত্রে একটু হোঁচট খেয়ে থাকেন। চায়ে থাকে ট্যানিন এবং কফিতে ক্যাফিন এই দুটোই কিন্তু আমাদের শরীরের উত্তেজনা কাজের উদ্দীপনা বাড়ায়। মনের ক্লান্তি মেটাতে এক কাপ চা-ই যথেষ্ট। চায়ে পে চর্চা হোক কিংবা কফির কাপে জোর তুফান সবেতেই বাঙালি এগিয়ে। তাই দুই নেশার পানীয়কে আলাদা আলাদা করতে গেলে একটু সমস্যায় পড়তে হয়। জানা যাক পুষ্টিবিদরা কি বলছেন? পুষ্টির দিক থেকে কোনটি এগিয়ে? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
কফি আমাদের হার্টের জন্য খুবই ভালো দিনে কয়েক বার চিনি ছাড়া কফি খেলে তা আমাদের হার্টকেও ভালো রাখে তাছাড়া মাইগ্রেনের সমস্যাকে দূর করে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে চিনি সমৃদ্ধ চা খাই আমরা। এই অভ্যাসটা কিন্তু ঠিক নয়। বিশেষ করে দুধ ও চিনি সমৃদ্ধ চা বাঙালি ঘরের অন্যতম আড্ডার পানীয়। এই চা আমাদের বিপাক ক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের হজম শক্তি কমায়। খালি পেটে চা খাওয়ার অভ্যাস আলসারের সমস্যা সৃষ্টি করে।
চিনি ছাড়া চা শরীরের জন্য উপকারী। চিনি না থাকায় তা যেমন আমাদের শরীরের সুগারের লেভেলকে ঠিক রাখে তেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে আমরা যদি চিনি ছাড়া এক কাপ লিকার চায়ে চুমুক দেই তাহলে আমাদের যাবতীয় আলস্য দূর হয়।
কফির ক্যাফিন অনেকেই সহ্য করতে পারেনা। কারণ কফিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফিন থাকে। তাই যারা দীর্ঘদিন চা খেয়ে অভ্যস্ত তারা হঠাৎ করে কফি খেলে শরীরের যাবতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া অতিরিক্ত কফি পান আমাদের রক্ত চাপের তারতম্যকে বিনষ্ট করে।
তবে চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি আমাদের ওজন কমানো থেকে নানা রকম শারিরীক সমস্যার সমাধান করে।
গ্রীন টি আমাদের শরীরের টক্সিক পদার্থকে বের করে দিতে সাহায্য করে। গ্রিন টি পলিফেলন ফ্ল্যাভনয়েডের মত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এবং আমাদের ত্বক, চুল ভালো রাখে।
Discussion about this post