ভারতকে ঘিরে ফেলতে নতুন পরিকল্পনায় পাক নৌ-বাহিনী। পাক নৌবাহিনী, জঙ্গি জাহাজ নিয়ে ভারতের দিকে অগ্রসর হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল। পাকিস্তান নৌসেনা শ্রীলঙ্কার নৌ সেনার সঙ্গে জোট বেঁধে ভারতের সীমান্তে যৌথ মহড়ায় উদ্যোগী ছিল পাকিস্তান। কিন্তু ভারতের এক ঝটকায় ভেস্তে গেল পাক বাহিনীর পরিকল্পনা।
পাক নৌবাহিনীর উদ্যোগে শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী সঙ্গে যে নৌমহড়া হওয়ার পরিকল্পনা চলছিল, এবার ভারতের আপত্তিতেই পাকিস্তানের সঙ্গে প্রস্তাবিত যৌথ নৌমহড়া বাতিল করে দিল শ্রীলঙ্কা। সূত্র বলছে,কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ত্রিঙ্কোমালি উপকূলের কাছে পাকিস্তান ও শ্রীলংকার এই মহড়া হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নয়াদিল্লি শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বোকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেয়, যে বিষয়টিভারতের উদ্বেগের কারণ । পরে এই মহড়ার কথা জানতে পেরেই কলম্বোর ভারতীয় হাইকমিশন শ্রীলঙ্কা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এবং বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। ভারত স্পষ্টভাবে বলেছে যে এই অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত স্বার্থের ক্ষেত্রে এই ধরনের মহড়া ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে। এরপরেই শ্রীলঙ্কা সরকারের সিদ্ধান্তে বাতিল করা হয় এই মহড়া । এতে পাকিস্তানের তরফে আপত্তি উঠলেও তাতে খুব বেশি কর্ণপাত করেনি শ্রীলংকা সরকার।
প্রসঙ্গত, আর যেখানেই পাক নৌ সেনা এই মহড়া চালানোর পরিকল্পনা করেছিল সেই ত্রিঙ্কোমালির কাছে ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি যৌথ ভাবে একটি জ্বালানি কেন্দ্র গড়ে তুলছে। কৌশলগত দিক থেকে যেদিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই আবহে পাকিস্তানের নৌবাহিনীর সঙ্গে শ্রীলঙ্কার যৌথ মহড়া নিয়ে ভারত নিজেদের উদ্বেগের বিষয়টি উত্থাপন করে।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শ্রীলঙ্কা সফরের কয়েক সপ্তাহ আগে এই নৌ মহড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এদিকে মোদীর সফরের সময়, ভারত ও শ্রীলঙ্কা প্রথমবারের মতো একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে একটি ত্রিপক্ষীয় শক্তি প্রকল্প স্বাক্ষর করে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। এই প্রকল্পে একটি বহু-পণ্য পাইপলাইন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার তেল ট্যাঙ্ক ফার্মের উন্নয়নের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
Discussion about this post