শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান পদে আসীন হয়েছেন নোবেল জয়ী ড. মোহম্মদ ইউনূস। অন্তবর্তী সরকার গঠনের সময় বলা হয়েছিল, ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন হবে। কিন্তু নির্বাচন বিসবাও জলে। কেউ কেউ বলছেন ক্ষমতার
অলিন্দে থেকে যাবেন মোহম্মদ ইউনূস। আবার কেউ বলছেন দীর্ঘ পাঁচ বছর সরকারে থেকে যাওয়ার পরিকল্পনা এঁটেছেন তিনি। এই পাঁচ বছর কি ইউনূসের সঙ্গে সেনাপ্রধান থাকবেন? অর্থাৎ দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান কি ইউনুসকে সমর্থন করছেন?
কিছুদিন আগে এক সমন্বয়ক বা জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম একটি পোস্ট করেছিলেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, মোহাম্মদ ইউনুসকে সরকারে ৫ বছর দেখলে ভালো লাগবে। এরপর বিভিন্ন সময় দেখা গিয়েছে, অন্তবর্তীকালীন সরকারের গুণগান গাওয়া হচ্ছে। কি কি করেছে এই সরকার, তার খতিয়ান তুলে ধরা হচ্ছে। ইউনূস সরকার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেছে, দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ করেছে, আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। এরমাঝে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, বিনিয়োগ সম্মেলন। সেখানেও ঢাক ঢোল পিটিয়ে নাবা বক্তব্য রাখা হল। কিন্তু তার ফলাফল বাংলাদেশের মানুষ এখন বুঝতে পারছেন। তবে যেভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে, তাতে রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, পাঁচ বছরের ক্যাম্পেইনের একটি যাত্রা শুরু হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে, মোহাম্মদ ইউনুসকে সরকারের পাঁচ বছর মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য জন্য আমরণ অনশন। তবে অনেকে বলছেন, এগুলি সম্পূর্ণ একটি সাজানো ঘটনা। এমনকি বলা হচ্ছে, এর সঙ্গে জড়িত জামাত, জড়িত সমন্বয়করা। তারা সম্মিলিতভাবে এই প্রচার চালাচ্ছে। কিছুদিন আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছিলেন, জনগণ তাদের পাঁচ বছর চাইছে। তবে এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন উঠছে, যে ক্যাম্পেইন চালানো হচ্ছে, তার কি সাফল্য আসবে?
আপনাদের মনে থাকবে, ২০২৪ এর ৫ই অগাষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর, অন্তর্বর্তী সরকারের গঠনের দেড় মাসের মধ্যে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান রয়টার্সকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, আঠারো মাসের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে এবং তার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে সবরকম সাহায্য করব। এমনকি ২৫ ফেব্রুয়ারি একটি বক্তব্য রেখেছিলেন সেনাপ্রধান। তিনি সেখানে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার কথা বলেন। আসলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সেনাপ্রধান নির্বাচন চাইলে কেউ আটকাতে পারবে না। এদিকে সেনাবাহিনীকে দেখা যাচ্ছে, সিদ্ধহস্ত রাস্তায় নেমেছে। তারা ব্যারাকের বাইরে রয়েছেন। তবে যেভাবে নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি চলছে, সেখানে প্রশ্ন উঠছে অন্তর্বর্তী সরকারকে কি সময় দেবেন সেনাপ্রধান?
Discussion about this post