বাংলাদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহের। আর সেখানেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি কি এইবার অদূর ভবিষ্যতে আফগানিস্তানের মত হতে চলেছে? এক্ষেত্রে মোহাম্মদ ইউনূসের পরিণতি কি হবে? এই নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নানা তত্ব খাড়া করছেন। কি বলছে আন্তর্জাতিক মহল, চলুন আলোচনা করা যাক।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ নিয়ে চীন, আমেরিকা, রাশিয়া, ভারত প্রতিযোগিতায় নেমেছে। কিন্তু এর আগে ভারত কখনও এই সামরিক প্রতিযোগিতা, দখলদারি প্রতিযোগিতায় ছিল না। যদি ভারত সেটাই চাইতো, তবে তারা ৭১ সালের পরই করত। তারা চাইলেই আরও একটি পাকিস্তান, আফগানিস্তানের জন্ম হতো। কিন্তু সেটা তারা না করে, বাংলাদেশকে বরাবর শান্ত রাখার চেষ্টা করে এসেছে ভারত। ২০০১ সালে তৎকালীন সরকার চেষ্টা করেও ভারতের সঙ্গেই যুদ্ধ পরিস্থিতি বা সামরিক আক্রমণে উস্কানি দিয়েছে। কিন্তু ভারতের তৎকালীন সরকার সেই ফাঁদে পা দেয়নি। আসলে ভারত যুদ্ধ করাতে বিশ্বাসী নয়। আজকে যখন বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘাঁটি গাড়তে চাইছে, তখন তখন তারা সামরিক স্থাপনা তৈরি করতে যাচ্ছে মায়ানমার ও বাংলাদেশের কোল ঘেঁষে, তখন ভারতের উদ্বেগের বিষয়টি একেবারে বাস্তব। এক্ষেত্রে ভারতকে মাঠে নামতে বাধ্য করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই অঞ্চলে রাশিয়ার কোনও সামরিক স্থাপনা নেই। তারা এইবার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশে তালিবানি সরকার হওয়ার সুযোগে। তারা চাইছে, এই সুযোগে সামরিক স্থাপনা মায়ানমার বাংলাদেশে করবে। দীর্ঘদিন ধরে চীন মায়ানমারে একটি অংশে দুটি সামরিক বন্দর তৈরি করে তারা অবস্থান করছে। এমনকি তারা ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। আর এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ শুধু দাঁড়িয়ে রয়েছে। কোনরকম একশন মুডে নেই। অনেকে বলছেন, বাংলাদেশের এখনতো ক্ষমতা তাতে মায়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আমেরিকা যে ষড়যন্ত্রের রয়েছে সেই ষড়যন্ত্রের বাস্তবায়নের জন্য যদি কোনও কারণে আরাকান আর্মি সামরিক জান্তার সঙ্গে সশস্ত্র যুদ্ধে জড়িয়ে যায়, তবে ভয়ানক হতে চলেছে।
এদিকে অনেকে বলছেন, বাংলাদেশ সরাসরি আরাকান আর্মির সঙ্গে যুদ্ধ করবে না,
এটা বলা হচ্ছিল। শুধুমাত্র বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষার কাজ করবে। তবে বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গে আমেরিকার বৈঠক হয়েছে। বসে নেই আর্মি। বাংলদেশে যে সামরিক ঘাঁটিটি রয়েছে সমুদ্র ঘেঁষা, যেটা টেকনাফ উপজেলার কক্সবাজারে। সেখানে ইতিমধ্যেই আমেরিকান সেনাবাহিনী কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। শুধু তাই নয়, খবর রয়েছে ১০ জন আমেরিকান সেনাকর্তা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এবং পরে তারা পরিদর্শনে যাবেন। অনেকে বলছেন, সেখানে দাঁড়িয়ে বনাগলাদেশের আর্মি বাধ্য হবে আরাকান আর্মিকে আমেরিকার পক্ষ থেকে সাহায্য করার। যখন আমেরিকান আর্মি এই যুদ্ধ সহযোগিতা করার মধ্যে আটকে যাবে, তখন একটি ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই যুদ্ধটি হবে বাংলাদেশ মায়ানমার এবং ভারতের মধ্যে। এক্ষেত্রেই সম্ভাবনা তৈরি হলে কোনভাবেই এড়িয়ে যেতে পারবে না বাংলাদেশ। কারণ এতদিন পর্যন্ত মোহাম্মাদ ইউনুস জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে পারেনি। সেক্ষেত্রে তাদের একটি পথ খোলা তা হল মায়ানমারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়া। এরপরে বাংলাদেশের পরিণতি নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিপন্থী আফগানিস্তান তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের অন্দরে গৃহযুদ্ধ তৈরি হয়ে যেতে পারে। এর কারণ হিসেবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সরকার রাজনৈতিক দলগুলি সঙ্গে কোনোরকম বৈঠকে বসতে নারাজ। শুধু তাই নয়, তারা আলোচনা করছে পাকিস্তানপন্থী মানুষদের সঙ্গে। ফলে সেই সরকারের মেঘ যে ঘনিয়ে আসছে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এখন সব থেকে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন, মোহম্মদ ইউনূসের পরিণতি কি হবে? বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের পর কেটে গিয়েছে অনেকগুলি বছর। কিন্তু তারপরও কোনও রকম দেশ প্রেম লক্ষ্য করা যায়নি বলে বলছেন অনেকে। উপরন্তু তার বিরুদ্ধে হাজার হাজার টাকার তছরুপের এর অভিযোগ রয়েছে। এমনকি এও শোনা যায়, তিনি যে নোবেল পেয়েছেন, সেটি গরিবের নামে পাওয়া এই পুরস্কার প্রতারণার সামিল। কারণ বাংলাদেশে দরিদ্র কোন মানুষ ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে উপকৃত হয়েছেন, এরকম কিছু সামনে আসেনি। বাংলাদেশের গৃহযুদ্ধ লাগলে তিনি পালিয়ে যাবেন, সেটাই স্বাভাবিক। ফলে বাংলাদেশের জন্য নিদারুণ একটি সময় অপেক্ষা করছে। এখনো সময় থাকতে যদি সচেতন না হয়, তবে এই ভোগান্তিতেই ভুগতে হবে বাংলাদেশের মানুষকে।
Discussion about this post