বিএনপির চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। ঠিক সেই মুহূর্তে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটা অনুষ্ঠানে সন্দেহ প্রকাশ করছেন, যে নির্বাচন কি আদেও হবে? কেন এই ধরনের প্রশ্ন তাঁর মনে এল? তবে কি এমন কোনও ইঙ্গিত তিনি পেয়েছেন, যেখানে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে নির্বাচন নিয়ে? তবে কি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, সেটাই সত্যি হতে যাচ্ছে? মুহাম্মদ ইউনূস কি আরও কিছুদিন ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চান? কারণ বাংলাদেশের যে বর্তমান পরিস্থিতি, তাতে এই প্রশ্নগুলো তুলে দিচ্ছে। পাশাপাশি একটি যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশে। অন্তত বাংলাদেশের উঠতি নেতারা যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তাতে এই ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটি অনুষ্ঠানে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে সন্ধিহান প্রকাশ করেছেন। তিনি বলছেন, নির্বাচন কি আদেও হবে? কয়েকদিনের ঘটনায় ভাবছে মানুষ। গত কয়েকদিনে যে ঘটনা ঘটল, মানুষ অনেক উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে। এবং মানুষ ভাবছে, নতুন করে ভাবছে।
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি ফের নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠেছে। এমনকি বিক্ষোভ করে বিক্ষুব্ধরা দুটি সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় কার্যালয়। ফকরুল বলেন, আগের সরকারের পতনের পর নতুন করে নির্বাচন করার সুযোগ তৈরি হলেও দুর্ভাগ্যক্রমে সেই সুযোগটা প্রায় হারাতে বসার উপক্রম হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য..যখনই আমরা একটা সুযোগ পায়, তখন কিছু মহল সেই সুযোগটাকে বিনষ্ট করে দেয়। আমরা সেই সম্ভাবনাটাকে দূর করে আমরা সত্যিকার অর্থে একটা আশার সঙ্গে সামনের নির্বাচনের দিকে যেতে চায়। তাঁর দল নির্বাচনের উপর জোর দিয়ে আসছে বলে জানান তিনি। তার জন্য অনেকে খোটা দিয়েছে বলে জানান বিএনপির মহাসচীব। তিনি বলেন, তারা শুধু বলে গিয়েছে, বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চায়। কিন্তু এটা প্রমাণিত যে বিলম্বের কারণে অনেকগুলো ঘটনা তৈরি হয়েছে। অনেকগুলি সুযোগ তৈরি হয়েছে, নির্বাচনকে বানচাল করে দেওয়ার জন্য। আমরা নির্বাচনমুখী দল, আমরা চাই নির্বাচন।
অনেকে বলছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠিকই বলেছেন। তার কারণ, হাদির মৃত্যুর পর একটি সংগঠনকে বলতে শোনা গিয়েছে, হাদির রক্তের উপর দিয়ে আমরা নির্বাচন চায় না। অর্থাৎ দেশে নির্বাচন বানচালের একটা আওয়াজ উঠছে। অর্থাৎ এতদিন ধরে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা যা যা বলে এসেছে, সেগুলি এখন প্রতিফলিত হচ্ছে। আগামী ১২ই ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হয়েছে। সেই দিনই হবে গণভোট। যখন নির্বাচনের কথা জানান প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, তখন অনেকে বলেছিলেন, তিনি চাপে পড়ে এই নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। অর্থাৎ স্বর্থস্ফূতভাবে তিনি নির্বাচন করার কথা বলেননি। এরপর রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এটাও বলেছিলেন, নির্বাচন বানচালের একটি চেষ্টা হতে পারে। যাতে নির্বাচন পিছিয়ে যায়। ঠিক সেই মুহূর্তে ওসমান হাদির হত্যার ঘটনা ঘটে। যাকে ঘিরে বাংলাদেশ অশান্ত হয়ে ওঠে। চলে বিক্ষোভ। এমনকি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ জনতা দীপু দাস নামে এক যুবককে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেয়। যা নিয়ে এপার বাংলাতেও প্রবলভাবে প্রতিবাদ চলে। আর এই পরিস্থিতিতে অনেকে বলার চেষ্টা করছেন, নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই কয়েকটি সংগঠন বলতে শুরু করেছে, হাদির রক্তের উপর দিয়ে নির্বাচন হবে না। আর নির্বাচন না হলে বিএপি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদেরই সরকারে যাওয়ার সম্ভাবনা। জামায়েত-ই ইসলামি রয়েছে ঠিকই। তবে বিভিন্ন নির্বাচনী জরিপ বলছে, বিএনপি ক্ষমতায় যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে সত্যিই আগামী ১২ই ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় কিনা, সেটাই দেখার।












Discussion about this post