মৃত্য না বলে অপমৃত্যুই বলা যেতে পারে।
প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর বলে পরিচিত এক নেতার মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় পদ্মপারের জাতীয় রাজনীতি। ঘটনার পিছনে ভারতকে দায়ী করা হচ্ছে। তারা অবশ্য অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি। সরকারের বয়ানে এও বলা হচ্ছে, এই প্রতিবাদী নেতার ঘাতকেরা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। যদিও সে দেশের পুলিশ ও প্রশাসন থেকে ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়েছে, ওই ঘাতকদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের তদারকি সরকারের এটা বদঅভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সেখানে কোনও অঘটন ঘটলেই আগে ভারতের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বসে। অথচ আজ পর্যন্ত তারা একটি অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি। এমনকী হাদির ক্ষেত্রেও না। তবে একটা বিষয় স্পষ্ট যে হাদির মৃত্যু মিলিয়ে দিল বিএনপি-জামায়াত-এনসিপিকে। এদিকে, হাদির মৃত্যুর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জ্বলছে।
হাদির এক সহযোদ্ধার বাইট
তাঁর পরিবারের তরফ থেকে ফেসবুকে একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, Osman Hadi sought justice even for his enemies until his last breath and wanted to fight through intellectual means. Everyone is required to remain vigilant so that the country’s independence and sovereignty are not endangered in any way in his name, a man who even sacrifice his life to protect them. Those attempting to exploit this incident for personal gain should be viewed with suspicion.The country must not be allowed to decend into chaos under any circumstances.
বাংলা তর্জমা করলে এরকম হবে – ‘ওসমান হাদি তাঁর শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ন্যায়বিচার চেয়েছিলেন। এমনকী তাঁর শত্রুদের জন্যও। তাঁর কৌশল ছিল বুদ্ধিজীবী। আমাদের প্রত্যেককে সচেতন থাকতে হবে যাতে তাঁর নাম ভাঙিয়ে কেউ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিনষ্ট করতে না পারে। এর জন্য একটা মানুষকে তাঁর জীবন দিতে হয়েছে। যারা এই ঘটনা থেকে ফয়দা তোলার চেষ্টা করবে, তাদের সন্দেহের চোখে দেখতে হবে। দেশকে কোনওভাবেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মুখ ঠেলে দেওয়া যাবে না। ’
হাদির ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে বলা হয়, আজ শুক্রবার বাদ জুমা দেশের সব মসজিদ এবং উপাসনালয়ে জুলাই জজবার প্রাণ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অকুতোভয় বীর শহিদ শরিফ ওসমান হাদির মাগফেরাতের জন্য দেশবাসীর দোয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। এবং সহিংসতা পরিহারপূর্বক নিজ নিজ এলাকায় খুনিদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করবার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
হাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করতে গিয়ে বিএনপির তরফে তাদের ভেরিয়াডে ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, ‘ ইন্না ইলাহি ওয়াইল্লা ইলাহি রাজিউন। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র, ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির শাহাদাতে আমরা গভীর শোকাহত।’ জামায়াতের তরফ থেকেও এই তরুণ-তুর্কি নেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। দলের তরফে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছেন আমীর শফিকুর রহমান। তাকে ‘সাচ্চা দেশপ্রেমিক’ বলা হয়েছে। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদি ছিলেন একজন সাহসী জুলাই যোদ্ধা ও সাচ্চা দেশপ্রেমিক। … তিনি অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করেননি। … তাঁর মাসুম বাচ্চা-সহ স্ত্রী, শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, সহযোদ্ধা ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। ’ এনসিপির শোকবার্তার বলা হয়েছে, ‘আমাদের এই সহযোদ্ধার মৃত্যুতে জাতীয় নাগরিক পার্টির সর্বস্তরের নেতা-কর্মী গভীরভাবে শোকাহত। আমরা বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। ’
হাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তাফা সরয়ার ফারুকী, সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া, এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।












Discussion about this post