রোস্ট, কারী, রেজালা, কাবাব, কষা থেকে একাধিক লোভনীয় পদে মুরগীর জুড়ি মেলা ভার। শুধু কি তাই, মুরগীর ডিমও আমাদের কাছে খাবারের অন্যতম। আচ্ছা, শুধু কি খাদ্যপ্রেমীদের তৃপ্তির জন্যই জন্ম হয়েছে এই পাখীটির। বলবো একেবারেই নয়। কারণ, মুরগীর চর্বি থেকে উৎপাদন হবে বিদ্যুৎ! শুনে ভিমরি খেলেন নাকি ? হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। মুরগীর চর্বি দিয়েই তৈরি হতে চলেছে পাওয়ার স্টোরেজ। সেই উৎপাদিত বিদ্যুৎ থেকেই আপনার বাড়িতে জ্বলবে LED লাইট। কিন্তু এখন প্রশ্ন সামান্য ছোট্ট এই পাখীটার শরীরে কতটাই বা চর্বি থাকে। আর তা থেকে আলোই বা জ্বলবে কীভাবে। তবে বলে রাখি, বিরল এই গবেষণা ভারতে নয়, হয়েছে বিদেশের মাটিতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যামিকাল সোসাইটির জার্নালে গবেষকরা মাংসের চর্বি থেকে প্রথমে গ্যাস ফ্লেম গান বের করেন। তারপর ফ্লেম উইক পদ্ধতিতে সেই চর্বি গলিয়ে ও পুড়িয়ে তা থেকে তেল বের করা হয়। অনেকটা ঘি কিংবা তেলের বাতি জ্বালানোর মতো। এরপর ফ্লাক্সের নিচে পড়ে থাকা কালি সংগ্রহ করে রাখা হয়।
ব্যাস, এরপরই তো কামাল। তারপর অনুবীক্ষণ যন্ত্রের উপর রাখতেই দেখা যায়, এতে কার্বন ভিত্তিক ন্যানোস্ট্রাকচার আছে। যেটিকে দেখতে অনেকটা পিঁয়াজের স্তরের মধ্যে থাকা পাতলা জেলির আস্তরণের মতো। আর এতেই রয়েছে সেই ধামাকা। যা অতি সহজেই কার্বনভিত্তিক ইলেক্ট্রোকোডে রূপান্তরিত করা যাবে। রূপান্তরিত এই ইলেক্ট্রোকোড সুপার ক্যাপাসিটর হিসাবে শক্তি সঞ্চয় করবে। এর সঙ্গে LED লাইটের সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগও করা যাবে। বৈদ্যুতিক এই ক্ষমতাকে বাড়াতে কার্বনের বিভিন্ন ন্যানোপার্টিকেলের অর্গান সালফার যৌগকে থিওরিয়া দ্রবণে ডুবিয়ে পরীক্ষা করেন আমেরিকার ক্যামিকাল সোসাইটির গবেষকরা। তাহলে কি লোডশেটিং হলে এই পদ্ধতিতে জ্বালানো যাবে আলো? যদিও সেই উত্তর স্পষ্ট করে প্রকাশ করেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা।।
Discussion about this post