বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান প্রত্যেকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করেন। মোহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গেও তার বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। এইবার এক মেজর জেনারেল সেনাকর্তার সহযোগিতায় লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে তার যোগাযোগ স্থাপন হয়। জানা যাচ্ছে, তারেক রহমান সেনাপ্রধানকে একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। আপনারা জানেন, গত ১৬ই এপ্রিল বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল মির্জা ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে বলেছিলেন, তারা সন্তুষ্ট নয়। কারণ মোহম্মদ ইউনূস নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ হিসাবে এই বছরের শেষে কিংবা পরের বছরের জুনে মধ্যে নির্বাচন হবে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু বিএনপি চায়, এই বছরের শেষে অর্থাৎ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করাতে। আর এই পরিস্থিতিতে সেনাপ্রধানের সঙ্গে তারেক রহমানের কথবাকওথন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারেক রহমান বলেছেন, দ্রুত নির্বাচনের জন্য সরকারকে চাপ তারা আর দেবেন না। কিন্তু যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আইসিটির চার্জশিট দিতে দিতে হবে। যেখানে শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে বিচার চলছে তার চার্জশিট চেয়েছেন তারেক রহমান। এমনটাই জানা যাচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের মিছিল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যত দিন গড়াচ্ছে, মিছিল তত বড় হচ্ছে। আর এই জায়গাতে অনেকে ভয় পাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, সেই ভয় থেকে তারেক রহমান সেনাপ্রধানকে এই প্রস্তাব দিয়েছেন। যাতে আওয়ামী লীগের বিচার করে তাদের নিশ্চিহ্ন করা যায়। ফলে নির্বাচন যখনই হোক না কেন, একটি পরিশুদ্ধ আওয়ামী লীগ কে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেবে। এবং দিলেও বিএনপির জেতার সম্ভবনা অনেক বেশি। তবে সেনাপ্রধান তারেক রহমানের প্রস্তাবে তেমন কোনও রেসপন্স করেননি। তবে অনেকে বলছেন, আইসিটির এই ধারণাটি আসলে জামাতের। জামাত চায়, যেহেতু তাদের শীর্ষ নেতৃত্বকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে, তাই তারা সমঅসংখ্য আওয়ামী লীগ নেতাকে ফাঁসিতে ঝোলাতে চায়। আর তাই বিএনপির সঙ্গে মিলে এইরকম একটি প্রস্তাব। এই কয়েকদিন লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, কিছুদিন আগে নির্বাচন নিয়ে কথা বললেও এখন নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে না বিএনপি। বরং তারা বলছে, প্রয়োজনে ইউনুস সরকারকে সাহায্য করতে তারা প্রস্তুত। এখন দেখার, এই পরিস্থিতিতে সত্যিই বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের কি করণীয়।
Discussion about this post