বাংলাদেশে সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছৌঁয়া, শুধু সস্তা হল লাশ। তৌহিদি জনগনকে খুশি করতে হলে শুধু টাকা পয়সা এবং ধর্ম দিয়ে হবে। চাই লাশ, দামী লাশ, বিরোধী লাশ আবা সংখ্যালঘুর লাশ। দামী লাশ হল আবু সইদ, ওসমান হাদি। এদের লাশ নিয়ে জনগনকে খেপিয়ে তোলা যায়। এই লাশ আমার আপনার ভাইয়ের, এই কথা বলে মানুষের আবেগকে কাজে লাগানো যায়। নইলে মহফুজ আলম যতদিন সরকারে ছিল, কত মৃত্যুই তো ঘটেছে, কই তখন তো বলেনি, আমাদের লাশ ফেললে আমরা লাশ নেব। হাজার হাজার পুলিশ, এবং আওয়ামীলীগের নেতা কর্মিদের লাশ হল, তৌহিদি জনতাকে খুশি করার জন্য।আর দিপু দাসের মত সংখ্যালুঘুর লাশ প্রয়োজন হয় ধর্মিয় জিহাদকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। এবার এই লাশের রাজনীতিতেই ধরা খাবে ইউনূস সাহেব।
প্রতিবেদন শুরু করার আগেই বলে নিই বাংলাদেশের উজ্বল নক্ষত্র পতনের কথা। সবাই যখন ভোট ভোট করছে, দেশে বিদেশে ভোটের জন্য চাপ আসছে, তখন জামাতি সরকারের প্রয়োজন ছিল একটি দামী লাশের। যার উপর দাঁড়িয়ে সবকিছু উলোট পালোট করে দেওয়া যাবে।তবে সেই দামী লাশের জানাজা থেকে ফিরে, কিভাবে কষ্ট ভুলতে হয় তার নমুনাটা একবার দেখে নিন।এবং শিখুন কি করে রাজাকার শহিদের শোক পালন করতে হয়। এর পরে আসি ওসমান হাদির লাশকে কারা দামী লাশ বানালো এবং কেন? ৫ই আগস্ট ২০২৪এর পর থেকে আওয়ামীলীগের কত নেতা কর্মীর মন্ডু হীন দেহ লাশ হয়ে পদ্মার জলে ভেসে এসেছে, আর ভেসে গেছে তার ইয়ত্তা নাই। এমনকি থানা গুলোর ভিতরেও আওয়ামীলীগের অগুনতি লাশ পাওয়া গেছে। আজ সেই সব লাশের কোন দাম নেই। তারা কেন এবং কিভাবে লাশ হল তার খোঁজ নেওয়ারও কেউ নেই। অথচ এক বছরে শুধু মাত্র ভারত বিরোধী কথা বলে একজন দেশনায়ক হয়ে গেল।যার নাম ওসমান হাদি।আর বর্তমান সময়ে এমন একজন দেশনায়কের লাশই খুব প্রয়োজন জামাতের। সরকারের সব বিষয়ে অক্ষমতা প্রকাশ পাচ্ছে, জনগন যখন এই সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুসছে, ছাত্রউপদেষ্টা সজিবের মত ভিক্ষারীও যখন মাত্র এক বছরে সাত হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছে, তাই নিয়ে মানুষ সরকারকে ট্রোল করছে, তখন ভীষন প্রয়োজন ছিল ওসমান হাদির মত একটা দামী লাশের। তবে এবার রাশিয়া এবং আমেরিকা বুঝে গেছে ইউনূস অরাজকতার আছিলায় ভোট বানঞ্চাল করতে চায়। রাশিয়ার ব্যবসায়ীরা বহু টাকা ইনভেস্ট করেছে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্রে, তাই তারা এই অরাজকতা বন্ধ করে ভোটের জন্য চাপ দিচ্ছে। এবং ভারতের বিরুদ্ধে গেলে, ফল যে ভালো হবে না, তাও ঠারে ঠরে বুঝিয়ে দিচ্ছে। ফলে বাংলাদেশ যখন ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাংলাদেশে ভারতের ভিসা বন্ধ করে, ভারতীয়দের বাংলাদেশ যাওয়া থেকে বিরত করতে চাইছে, তখন বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে রাশিয়া এবং ভারতের পূর্ণ সহযোগীতায়। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে সব বিষয়ে ভারতকে অভিযুক্ত না করে, ভারতের বিরুদ্ধে কোন গোয়েন্দা প্রমান থাকলে, তা আন্তর্জাতিক মঞ্চে পেশ করুক বাংলাদেশ।ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলছে আমরা কোন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নাক গলাই না।কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা।তাই আমরা ভারত বাংলাদেশের বিষয়টি কড়া পর্যবেক্ষনে রেখেছি। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আরো বলেছেন, আমার অবস্থান পরিস্কার, যে কোন ধরণের উত্তেজনা যত দ্রত সম্ভব কমাতে হবে। আমেরিকাও বলছে দিল্লী আর আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল না তুলে, দেশে একটি নির্বাচন দিয়ে বিদায় নিক এই অযোগ্য সরকার। কিন্তু আমেরিকা বুঝতে পারছে না, তারা যাকে ক্ষমতায় বসিয়ে রেখেছে, ক্ষমতা তার হাতে নেই। ক্ষমতার আসল অধিকারী জামাত। যারা জানে শুধু বিপক্ষের লাশ ফেললেই হবে না। সব কিছুর কন্ট্রোল নিজেদের হাতে কায়েম রাখতে হলে, হাদির মত নিজেদের কাছের লোকেরও লাশ ফেলতে হয়। যার লাশকে নিয়ে রজনৈতিক ফায়দা তুলা যায়। একটি লাশের কারণে থেমে যাওয়া আন্দোলোনকে যেমন গতি দেওয়া যায়, তেমন লাশের উপর দাঁড়িয়ে বর্তমান অবস্থার আমূল পরিবর্তন করা যায়। তাই তো যখন কোটা আন্দোলোনের দাবী সরকার একপ্রকার মেনে নিয়েছিল, তখন আবুসাইদের মৃত্যু আন্দোলোনকে নতুন গতি দিয়েছিল। সেই একই কায়দায় হাদিকে সরিয়ে ভোটের বাজার বন্ধ করতে চাইছিল জামাতি ইউনূস। কিন্তু আমেরিকার চাপে মাথা নোয়াতে বাধ্য হয় ইউনূস। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন ফেব্রুয়ারীতেই ভোট হচ্ছে। এখন দেখার ভোট পিছতে আর কত দামী লাশের ব্যবস্থা করতে পারেন কিনা জামাতী ইউনূস সাহেব।











Discussion about this post