আন্তজার্তিক মহলে তুমুলভাবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে তুলে ধরা হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, সেদেশে যে তুমুল অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে ইউনূস সরকারের কিছুটা রাশ টানা উচিত ছিল। কিন্তু সেটা না করে তিনি একের পর এক বিবৃতি দিয়ে নিজেই ফেঁসেছেন। ঠিক যেন ফান্দে পরিয়া বগা কান্দের মতো। কিছুদিন আগেই ইউনূস সরকার আদালতে ছুটে গিয়েছিল অন্যান্য রাজনৈতিকগুলিকে নিষিদ্ধ করার জন্য। রাজনৈতিকগুলির দ্বিখন্ডিতর ছবি দেখা গিয়েছিল। বিএনপি বলেছিল নির্বাচন করতে হবে, জামাত বলছিল আমরা অন্তবর্তী সরকারের পাশে রয়েছি। কার্যত একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর এর মধ্যেই বিদেশমন্ত্রকের তরফে বাংলাদেশকে কড়া হুঁশিয়ারি। চিন্তায় ফেলেছে সে দেশের সরকারকে। অন্যদিকে ট্রাম্প-মোদীর সম্পর্ক অনেকটাই মজবুত। যে কারণে আরও চিন্তা বাড়ছে তাদের।
উল্লেখযোগ্যভাবে, সীমান্তে যেভাবে ভারত আটসাঁট করেছে তাতে, সেনাপ্রধানের ঘুম ছুটেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। সীমান্তে ভারত যে পরিমাণ সেনা বাহিনী নিযুক্ত করেছে, জাতি সংঘে কাশ্মীর পর্যন্ত বলেছে সীমান্ত থেকে যেন ভারতীয় সেনা সরে যায়। গত কয়েক বছর ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, সীমান্ত এরিয়াকে পাকিস্তান বারবার হাতিয়ার করেছে, যাতে উগ্রপন্থীদের ঢোকানো যায় ভারতে। কিন্তু সম্প্রতি সীমান্তে নিরাপত্তা, সুরক্ষা এতটাই শক্তিশালী করেছে ভারত, তাতে পাকিস্তান সেই সুযোগ পাচ্ছে না। কিন্তু নিজেরে কার্যসিদ্ধির জন্য পরিবর্তিত পথ হিসাবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করতে চাইছে পাকিস্তান। তারফলে বাংলাদেশের ভিসা দেওয়ার বিষয়টি যেভাবে বিভিন্ন আন্তজার্তিক সংবাদপত্র এবং গণমাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে, তাতে ভারতের উদ্বেগের একটি বড় কারণ দেশের সুরক্ষা। এখন ভারত সরকার মনে করছে, ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় যে সমস্ত পাকিস্তানিরা আক্রমণ চালানোর ফন্দি এঁটেছেন, ইউনূসের এই ধরণের কার্যকলাপের পর সহজেই বাংলাদেশে ঢুকে যেতে পারবেন। বাংলাদেশে ঢোকার পর সীমান্ত এরিয়া দিয়ে বিভিন্নভাবে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই রিপোর্ট সামনে আসতেই ভারতের গোয়েন্দা বিভাগ অত্যন্ত সজাগ হয়ে গিয়েছে। তবে এই বিষয়টি ভারত সরকার কোনওভাবেই ভালোভাবে নেয়নি।
এরমধ্যেই আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পাকিস্তান থেকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র কিনেছে বাংলাদেশ। তবে আন্তজার্তিক মহল মনে করে, বাংলাদেশ-পাকিস্তান আঁতাত করেও ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে উঠতে পারবে না। তবে তারা যেটা পারে, ভারতের সুরক্ষা বিষয়ে খামখেয়ালিপনা করতে। এরমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন এখানেই, বাংলাদেশ নিজের ক্ষমতা জানার পর কীভাবে দিনের পর দিন ভারতকে হুমকি দিতে পারে? গোয়ান্দারা বলছেন, এর পিছনে চীনের একটা বড় সাপোর্ট রয়েছে। অর্থাৎ, বাংলাদেশ, চীন এবং পাকিস্তানের আঁতাত ভারতের একটি মাথা ব্যাথার কারণ। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে ডোনাল্ড লু ভারতে আসছেন। মনে করা হচ্ছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াকে যেভাবে অশান্ত করার চেষ্টা চলছে, সেখানে দঁড়িয়ে ভারত এবং ট্রাম্প চাইবে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে। আর এখানে চাপ বাড়তে শুরু করেছে ইউনূসের। ভারতের সঙ্গে যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নষ্ট করেছে পদ্মাপারের দেশ, তা নিয়ে পস্তাতে হবে ইউনূস সরকারকে। পাশাপাশি হিন্দুদের উপর চলা অত্যাচার নিয়ে হাত গুটি বসে থাকবে না ভারত সরকার। কড়া বিবৃতি এমনতেই প্রকাশ করেছে বিদেশমন্ত্রক। সীমান্ত সিল করে দেওয়া হচ্ছে। চলছে রাইফেলের মহড়া। ভয়ে কাঁপছে ইউনূস সরকার। এরপর আ্তজার্তিক মহল মনে করছে, যাবতীয় পদক্ষেপ করবে ভারত।
Discussion about this post