ভারতের সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারতের নিশানায় সরাসরি পাকিস্তান। ২২ এপ্রিল এই সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে একের পর এক কূটনৈতিক চালে পাকিস্তানকে বাজিমাত করেছে ভারত। তারপরেও উল্টো দিক থেকে পাকিস্তানের হুংকার ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সেই সমস্ত অহংকার হুশিয়ারিকে নস্যাৎ করতে পাকিস্তানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করল ভারত। এ বার আরও কড়া পদক্ষেপ নয়াদিল্লির। সূত্র বলছে, পশ্চিম সীমান্তে আধুনিক জ্যামার বসানো হয়েছে। এর ফলে পাকিস্তানি সেনার বিমান যে সিস্টেম ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তুর অবস্থান স্থির করে, তা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে। এর ফলে পাকিস্তানের আঘাত হানার ক্ষমতাও অনেকটাই হ্রাস পাবে।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা করে। একটি ‘নোটিস টু এয়ার মিশন’ জারি করা হয়েছে ভারতের তরফে যার ফলে, পাকিস্তানে নথিভুক্ত বিমান বা পাকিস্তান পরিচালিত বিমান ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। বিশেষভাবে এও জানানো হয়েছে,সামরিক বিমানের ক্ষেত্রেও এই নির্দেশিকা জারি করা হবে। এর ফলে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও পূর্ব এশিয়াগামী পাকিস্তানের বিমানগুলি সমস্যার সম্মুখীন হবে। এছাড়া গন্তব্যে পৌঁছোতে তাদের অতিরিক্ত সময় লাগবে, জ্বালানিও পুড়বে অতিরিক্ত । ফলে পাকিস্তানের যেকোনো সফরই ব্যয়বহুল হতে পারে ভারতের এই নয়া নির্দেশনার ফলে ।
নয়াদিল্লি সূত্রে খবর, পাকিস্তানের সেনাবিমান লক্ষ্যবস্তুর অবস্থান জানার জন্য যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে, উপগ্রহের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুর অবস্থান জানার জন্য। এ বার সেই সমস্ত প্রযুক্তিকেই মাত করতে ভারতের জ্যামিং প্রযুক্তি কাজ শুরু করেছে, এমনটাই দাবি উঠে আসছে। এই প্রযুক্তির ব্যবহারে পাকিস্তান সেনা তার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রায় আঘাত হানতে ব্যর্থ হতে পারে। সেই লক্ষ্যবস্তুর বিষয়ে যথাযথ তথ্য থেকেও বঞ্চিত হতে পারে তারা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশই ভারতীয়। এই ঘটনার দেয় সম্পূর্ণই পাকিস্তানকে দিয়েছে ভারত। সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ গোটা দেশের মানুষের কাছে। তাঁদের সন্ত্রাসবাদ দমন করতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে। প্রথমে সিন্ধু জল চুক্তি বাতিল, পাকিস্তানি নাগরিকদের স্বল্পমেয়াদি, মেডিক্যাল ভিসা বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এগুলির পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানও ভারতের বিরুদ্ধে কিছু কড়া পদক্ষেপ করেছে। পাকিস্তানের আকাশসীমা ভারতীয় বিমানের জন্য বন্ধ করেছে। এ বার ভারতও একই পদক্ষেপ গ্রহণ করল। এর পাশাপাশি আরো কড়া পদক্ষেপ হিসেবে পশ্চিম সীমান্তে জ্যামারও লাগিয়েছে ভারত, যাতে পাকিস্তানি সেনার বিমানে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার ক্ষমতা হ্রাস পায় ।
Discussion about this post