শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশে জঙ্গি কার্যকলাপ বেড়েছে। এর মধ্যে একটি গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হচ্ছে নাকি, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান মনে করছেন, জেহাদিরা আক্রমণ শানাতে পারে। কিন্তু তারপরও কেন তিনি তার বিরুদ্ধে কিছু বললেন না? বৃহৎ পরিসরে কেন তিনি অভিযোগ জানালেন না?তার প্রায় একমাসের মধ্যে ভারতের কাশ্মীরে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনা। এটার সঙ্গে কি এই ঘটনার কোনও মিল আছে? নাকি তিনি এটা মনে করেন,পাকিস্তানকে সমর্থন করলে, সেটা তার কাছে বড় লাভ? নানা স্তর থেকে উঠে আসছে এমন নানা প্রশ্ন।
জানা যাচ্ছে, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান সেনা আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠকে বলেছেন, একটি ইসলামিক টেররিস্টদের আক্রমণ হুতে পারে। প্রতেক্যে যাতে সতর্ক থাকে, তার বার্তা দিয়েছেন। প্রশ্ন উঠে আসছে, তিনি এই তথ্যটি কোথা থেকে পেয়েছেন? অন্যদিকে বাংলাদেশে আইএসআইয়ের তৎপরতা নাকি বেড়েছে। ২০২৪ এর ৫ই অগাষ্ট, হেফাজতি ইসলাম, জামাতি ইসলাম এবং আরও একটি দলকে একত্রিত করার চেষ্টা করা হয়। এবং এই চেষ্টার সমন্বয়ক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয় পাকিস্তানের আম্বাসেডর সৈয়দ আহমেদ মারুফকে। প্রশ্ন উঠছে, এই দলগুলিকে একত্রিত করার নির্দেশ কে দেয়? অনেকে বলছেন, যদি বাংলাদেশের সরকার কড়া হাতে দমন করত তবে কি বাইরের কেও এসে এই প্রভাব দেখাতে পারত? এবং এই প্রশ্ন উঠছে, যদি সেনাপ্রধানের কাছে নানা বিষয়ে খবর থাকে, তবে কেন তিনি সিদ্ধহস্ত পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছেন না? তবে এর পিছনে কি তিনি কোনও লাভ দেখছেন? যদিও অনেকে বলছেন, তার ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই। তবে পশ্চিমা দেশের কোনও একটি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে প্রভাব রয়েছে তার ওপর।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে আরও একটি বিষয় সামনে এসেছে। সেটা হল, লস্কর ই তৈয়বার এক শীর্ষ কর্তার সঙ্গে দেখা করেছেন বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। যে ছবি বিভিন্ন জায়গাতে দেখা যাচ্ছে। এই আইন উপদেষ্টাই কাশ্মীরের ঘটনার পর ফেসবুক বিবৃতি দিতে গিয়ে বলেছিলেন, তিনি নাকি বিশ্বাস করেন না, অমিত শাহ বা অজিত দোভালের অজান্তে কাশ্মীরে অস্ত্র বা অস্ত্র চালানোর লোক ঢুকতে পারে। যদিও সেই পোস্টটি তিনি ডিলিট করে দেন। এবং পরে শোনা যায়, লস্কর ই তৈবর নেতার সঙ্গে তিনি দেখা করেছেন। অন্যদিকে এখন আবার পাকিস্তান ভারতের যুদ্ধ প্রসঙ্গ বলতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশকেও প্রস্তুত থাকতে হবে। না হলে এটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে। পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন, যুদ্ধের প্রস্তুতি খানিকটা যুদ্ধের দিকে নিয়ে যায়। ফলে সেটাতে তার আপত্তি আছে।নেই বিষয়ে কি বলেছেন তিনি শুনুন
এখানেই প্রশ্ন উঠছে, পাকিস্তান ভারতের যুদ্ধ হলে, পাকিস্তানকে সমর্থন করবে বাংলাদেশ? তাই ইসলামাবাদকে সাহায্য করতেই প্রস্তুত থাকার কথা বলছেন? নাকি দুই দেশের যুদ্ধ হলে বাংলাদেশের উপর প্রভাব পড়তে পারে সেই আশঙ্কা থেকে বাংলাদেশকে প্রস্তুতি থাকার আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা? নানা চিন্তাধারা থেকে উঠে আসছে প্রশ্ন।
Discussion about this post