হঠাৎই বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে চট্টগ্রামের আশেপাশে ভারতীয় সেনা এমন কিছু করছে, যা কোনওভাবেই সাধারণ কোনও ঘটনা নয়। তবে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে অফিসিয়ালি কোনও বয়ান আসেনি। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশের খানিকটা তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে কি কড়া কোনও পদক্ষেপ করতে যাচ্ছে ভারত? সম্প্রতি বাংলাদেশে ভারত বিদ্বেষ দেখা যাচ্ছে। ভারতকে হুমকি দিচ্ছে সেখানকার উঠতি নেতারা। ভারত এর কোনও জবাব দেয়নি। তবে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা কিছুটা আভাস দিয়ে রেখেছিলেন। তিনি বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন, আসলে ভারত কাজ শুরু করে দিয়েছে। এদিকে কিছুদিনের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে, চট্টগ্রাম থেকে ৫০ কিমি দূরে ভারতীয় সেনার অবস্থান। গ্রাউন্ড অ্যাকশনে নামল ভারত!
কিছুদিন আগেই ফের এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ভারতকে একটি হুমকি দিয়েছে। তারা নাকি ভারতের সেভেন সিস্টার্স দখল করে নেবে। এমনকি তিনি বলেন, নিজেদের দেশে আতঙ্কবাদী, ভারতবিরোধী লোকজনদের আশ্রয় দেবেন। যাতে তারা নর্থ ইস্ট ভারতে আক্রমণ চালাতে পারে। কিন্তু কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত অনেক আগে থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। জানা যাচ্ছে, মিজোরামে নিজেদের চতুর্থ মিলিটারি বেস তৈরি করছে বাংলাদেশের জন্য। ভারত যদি কোনওরকম এয়ার স্ট্রাইক করে, যদি বাংলাদেশের উপর স্ট্রাইক করতেই হয়, তবে ব্রহ্মস বা রাফাল নিয়ে স্ট্রাইক করতে হবে। এবং কয়েক ঘণ্টা লাগবে বাংলাদেশকে সারেন্ডার করাতে। কিন্তু ভারত যেটা করছে সেটা কোনও ছোটখাটো স্ট্রাইকের জন্য নয়।
প্রায় ছয় মাস আগে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আমাদের একটা চিকেন নেক রয়েছে কিন্তু বাংলাদেশের দুটি চিকেন নেক রয়েছে। তিনি রংপুর ডিভিশন এবং চট্টগ্রামের একটি অংশের কথাই বলেছেন। যেটা বাংলাদেশের কাছে স্পর্শকাতর এলাকা। এটা তখন রাজনৈতিকভাবে দেখার চেষ্টা করেছিলেন অনেকে। কিন্তু ভারত কিছুদিন আগেই হঠাৎ করেই ঘোষণা করে, বাংলাদেশ সীমান্তের পাশে তিনটি খাঁটি তৈরি করছে ভারত। একটি গ্রাউন্ড সাপোর্টের জন্য। চতুর্থ বেস তৈরি করা হচ্ছে মিজোরামে।
যেটা ভালো করে দেখলে বোঝা যাবে, বাংলাদেশের দ্বিতীয় চিকেন নেক অর্থাৎ চট্টগ্রামের ডিভিশনকে লক্ষ্য করে। আশ্চর্যজনকভাবে, ভারত বাংলাদেশের এই অঞ্চলটিকে লক্ষ্য করে ত্রিপুরাতে কৈলাশহর বিমানবন্দর নতুন করে সাজাচ্ছে। ফলে ভালো করে দেখলে বোঝা যাবে, মিজোরাম এবং ত্রিপুরা এমন অবস্থানে রয়েছে, যেটা সরাসরি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগকে ক্যাপচার করতে পারবে। এই বেসগুলো গ্রাউন্ড সেনা বা যুদ্ধাস্ত্র খুব তাড়াতাড়ি মুভ করানোর জন্য তৈরি করা হচ্ছে। এবং যে তৎপরতার সঙ্গে কাজগুলো করা হচ্ছে সেগুলো একেবারেই সাধারণ নয়। এক মাস আগেই রংপুর ডিভিশনকে ঘেরা হল, তিনটি গ্রাউন্ড বেসের মাধ্যমে। এর ঠিক একমাসের মাথায় চট্টগ্রাম ডিভিশনের আশেপাশে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে মিজোরামে ইস্টার্ন কমাণ্ডের ঘাঁটি। সেখানে লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিওয়ারি, লেফটেন্যান্ট জেনারেল অভিজিৎ এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াস…তিনজনই পৌঁছে যায়। সেখানে তারা তিনটি এলাকাকে লক্ষ্য করছে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এরকম তৎপরতা একমাত্র পাকিস্তান সীমান্তে লক্ষ্য করা গিয়েছিল। যদিও আরও একটি সীমান্তে ভারত যথেষ্ট তৎপর। সেটি হল চীন। এখন বাংলাদেশের সীমান্তেও এই তৎপরতা দেখাচ্ছে ভারত। যেটা আগে কখনও দেখা যায়নি। ফলে এটা স্পষ্ট, বাংলাদেশের হুমকি, উস্কানিতে মুখে কোনও জবাব দেবে না ভারত। বরং নিজেদের দেশকে সুরক্ষিত রাখতে ভারত যা করার তাই করছে। এখন দেখার, যদি সত্যিই বাংলাদেশের সময় খারাপ আসে, ভারত কোনও অ্যাকশন নিলেও নিতে পারে। আর সেটা বেশি দূরে নয়। বলছেন বিশেষজ্ঞরা।












Discussion about this post