বাংলাদেশের বাতাসেও যেন মিশে গিয়েছে ভারত-বিদ্বেষ । শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। কখনও বাংলা বিহার ওড়িশা দখল করার কখনও বা সেভেন সিস্টার দখলের হুমকি প্রতি মুহূর্তে ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের তরফে। এমনকি প্রকাশ্যে যুদ্ধ ঘোষণা করার মত দুঃসাহস দেখাতেও পিছ পা হয়নি তারা। ভারতকে নিশানা করে তুলছে ভারত বিরোধী জিগার।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই শুরু হয়ে হিন্দু ও সংখ্যালঘু দের ওপর অত্যাচার হামলা। প্রকাশ্যে ভারত বিরোধী স্লোগান তুলছে বাংলাদেশের বিভিন্ন মহল।
সম্প্রতি দেখা গিয়েছে বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাকর্মীদের কেউ হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন চার দিনের মধ্যেই কলকাতা দখলের, আবার কেউ তো ভারতকে একঘরে করে রাখারও দাবি তুলছে। ভারতের পাশাপাশি যখন আমেরিকা থেকেও খুব বেশি সহায়তা বা সুবিধা করার সুযোগ পাচ্ছেনা তখন সরাসরি আমেরিকা দখলের হুঁশিয়ারিও দেওয়া চলছে বাংলাদেশ থেকে ।
আর সেই সমস্ত ভারত বিরোধী হুকার ছড়িয়ে পড়েছে সমাজ মাধ্যমে তাঁদের এই ফাঁকা আওয়াজে হাসির রোল উঠেকে নেট দুনিয়ায়। আর এই আবহেই ফের বাংলাদেশ হাসির খোরাক। ফের প্রকাশ্যে বিএনপি নেতৃতের গলায় যুদ্ধ এর সুর। সরাসরি ভারতের রাফাল বিমান নিয়ে হাস্যকর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে যুদ্ধ জিগির বিএনপি নেতার।
বিভিন্ন বাংলাদেশী সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে, রাফাল প্রসঙ্গে বিএনপি নেতার প্রকাশ্যে দিল্লিকে হুঁশিয়ারি । এমনকি ভারতীয় অভিনেত্রীদেরও কটাক্ষ করেছেন বিএনপি নেতা। বেশ কিছু হাস্যকর মন্তব্যও করেছেন। বিএনপি নেতার বক্তব্য বাংলাদেশীরা একবার লুঙ্গি গোটালে ভারতীয় রাফালও আর ধোপে টিকবে না, এমনই ব্যঙ্গত্মক হুঙ্কার ওই নেতার।
পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে ফের চর্চার কেন্দ্রবিন্দু ভারতীয় বায়ুসেনার অন্যতম প্রধান শক্তি রাফাল যুদ্ধবিমান।
এবার প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, এই রাফাল এর বিশেষত্ব কী ? রাফালকে নিয়ে কেনই বা এতো মাথাব্যথা শত্রুদের?
ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে রয়েছে ফ্রান্সে তৈরি রাফাল যুদ্ধবিমান। রাফালে রয়েছে ২টি ইঞ্জিন। ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা অনেক কম এবং জ্বালানিও কম লাগে। এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২,১৩০ কিলোমিটার। এর সক্ষমতাও অনেক বেশি, দীর্ঘ উচ্ছতা থেকে আঘাত হানতে ও মাটির কাছাকাছি পৌঁছেও শত্রুঘাঁটি ধ্বংস করতেও সক্ষম এই রাফাল। এককথায় সার্বিক ভাবে পারদর্শী এই যুদ্ধবিমান।
কারণ, হামলার আগে আকাশসীমায় ঢুকে প্রতিপক্ষ অর্থাৎ শত্রুঘাঁটির ছবিও তুলে আবার সুরক্ষিত ভাবে ফিরে আসতেও পারদর্শী রাফাল যুদ্ধবিমান।
সবদিক থেকে নিজের সক্ষমতা ও পারদর্শীতার জন্য ফ্রান্সের তৈরি এই রাফাল যুদ্ধবিমানকে মাল্টিরোল ফাইটার জেট নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে ।
ইরাক ও সিরিয়ায় বিভিন্ন জঙ্গি ঘাঁটি শেষ করতেও এই রাফাল যুদ্ধবিমান টিকে অপরিহার্য অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে ফরাসি বায়ু সেনা।
Discussion about this post