আমেরিকায় গিয়েছেন এস জয়শঙ্কর। ছয় দিনের মার্কিন সফরে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। সেখানে বৈঠক করেছেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান ও সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় উত্থাপিত হয়েছে তাঁদের এই বৈঠকে। এমনটাই খবর উঠে আসছে। তবে কি কারণে হঠাৎ তিনি আমেরিকায় গেলেন, কোনও নির্দিষ্ট বিষয় কি রয়েছে এরমধ্যে? পাশাপাশি ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার মসনদে বসার পর এই প্রথমবার বিদেশমন্ত্রীর সফর। কাজেই সেই বিষয় এখন আন্তর্জাতিক মহলে চর্চার বিষয়।
আসলে যখনই যে কোনও দেশের প্রধানমন্ত্রী বা বিদেশমন্ত্রী বিদেশ যান, সেক্ষেত্রে দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মাঝে যে মিটিং হয়ে থাকে, তার প্রস্তুতি অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যায়। মিটিংয়ের এজেন্ডা তৈরি করা হয়। যাতে আগে থেকেই ঠিক হয়ে যায়, যে কোন বিষয়ের উপর মূলত আলোচনা করা হবে। এক্ষেত্রে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের আমেরিকা যাওয়ার কথা অনেক আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল। মোট ছয় দিনের সফরে যান তিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার মদসদে বাসর পর প্রথমবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী আমেরিকায় গেলেন। ট্রাম্পের টিমের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন বলে খবর রয়েছে আন্তর্জাতিক সূত্রে। বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, এস জয়শঙ্কর নিু ইয়র্ক, শিকাগো, হাউস্টন, আটলান্টার ভারতীয় কনসাল জেনারেলদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। এমনকি জয়শঙ্কর অক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, জ্যাক সুলিভনের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছে। ভারত-আমেরিকার মধ্যে খুব ভালো একটি সম্পর্কের দিকে এগোচ্ছে। এমনকি, বিশ্বের দরবারে দুই দেশের উত্থাপন নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় আরও একটি গুরত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপিত হয়েছে, তা হল, দুই দেশের পারস্পরিক রক্ষা। যা নিয়ে দুই দেশ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তাদের আলোচনা খুব ভালো হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এখন জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে. একদিকে বাংলাদেশের ভঙ্গুর পরিস্থিতি। যা কার্যত তার প্রতিবেশী দেশগুলিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। পাশাপাশি পাকিস্তানও বেশ বিপাকে। পাকিস্তানের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করেছে তালিবানি সৈন্য। সেই সংখ্যাটা প্রায় ১৫ হাজার মতো। তবে ঘটনার সূত্রপাত করেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। এমনটাই বলছে রাজনৈতিক মহল। তারা হঠাৎ করেই তালিবানদের উপর একটি এয়ারস্ট্রাইক করে বসে। আর এর ঠিক দু দিন আগে আফগানিস্তানে বোমা বর্ষণ করে। তালবানের তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে ৪৬ জন মহিলা এবং শিশুদের উপর এই বোমা বর্ষণ করেছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ, পাকিস্তানের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে গুটি সাজাচ্ছে তা মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। যদিও চুপ করে বসে নেই ভারতকও। কার্যত নিজেদের মতো করে তৈরি হচ্ছে ভারত। বিশ্বের দরবারে শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে ভারতে সদভাব রয়েছে তা জানে প্রত্যেকে। চীনও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশের থেকে। সেক্ষেত্রে এখন, চাপ বাড়ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের। তারমধ্যেই ভারতের বিদেশমন্ত্রীর এস জয়শঙ্করের আমেরিকা সফর, তাও ডোনাল্ড ট্রাম্প মসনদে বসার পর এত তাড়িতাড়ি প্রথম ভারত পৌঁছল তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে, তাও চিন্তা বাড়াচ্ছে পাক-বাংলাদেশকে। কার্যত ভারত আমেরিকা জোড়া ফলায় বিপাকে ইউনূস।
Discussion about this post