কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় ফুঁসছে গোটা দেশ। জঙ্গিদের হাতে নৃশংসভাবে ২৬ জন পর্যটকের খুন, মেনে নিতে পারছে না ভারতবাসী। যে জঙ্গিদের লাগাতার মদত জুগিয়ে এসেছে পাকিস্তান। যা অবশ্য নির্লজ্জভাবে স্বীকার করেও নিয়েছে পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। তার গলাতে শোনা গিয়েছে, সন্ত্রাসকে লালন করার কথা। পাক উপ প্রধানমন্ত্রী আবার হামলাকারীদের স্বাধীনতা সংগ্রামী বলে অভিহিত করতে চেয়েছেন। কতটা অমানবিক এবং প্রচ্ছন্ন জঙ্গি লালনের দেশ হলে, তার শীর্ষ কর্তারা এমন কথা বলতে পারে! এদিকে পাকিস্তানকে কড়া টাইট দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে নয়া দিল্লি। এদিকে ভারতের তিনি বাহিনী যুদ্ধর প্রস্তুতি শুরু করেছে। ইন্ডিয়ান নেভি, ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স, ইন্ডিয়ান আর্মির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আমরা মিশনের জন্য প্রস্তুত। যে কোনও মুহূর্তেই যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের পাশে রয়েছে রাশিয়া, আমেরিকা, ইসরাইল, ফ্রান্সের মতো বিশ্বের তাবর দেশগুলি। ইসরায়েল তো বলেই দিয়েছেন প্রয়োজন পড়লে সমস্তরকম সাহায্য করবে ভারতকে। এমনকি দরকারে সেনা দিয়েও সাহায্যের কথা জানানো হয়েছে। এদিকে ভারত সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি বন্ধের মত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে। এদিকে তিন দিন বন্ধ রাখার পর ঝিলাম নদীর জল হঠাৎ ছেড়ে দিয়েছে ভারত। এই জেরে ভাসছে পাকিস্তান। যুদ্ধ শুরুর আগেই ইমারজেন্সি ঘোষণা করা হয়েছে পাকিস্থানে।
কাশ্মীরের ভয়াবহ ঘটনায় পর ভারতের তরফে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। ভারতের এই পদক্ষেপকে যুদ্ধ ঘোষণার সামিল বলে মন্তব্য করা হয়েছে পাকিস্তানের তরফে। অর্থাৎ এর জেরে বড় বিপদে পড়েছে প্রতিবেশী দেশ, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ১৯৬০ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে হওয়া চুক্তি রোদ করাতে হইচই বিশ্বজুড়ে। অর্থাৎ সিন্ধু নদীর প্রবাহে বাঁধ নির্মাণ করতে পারবে ভারত। বিশ্বের কোনও দেশের সতর্কতা মানছে না ভারত সরকার। এদিকে পাকিস্তানে ইমারজেন্সি জারি হয়েছে। কারণ তিন দিন বন্ধ রাখার পর ঝিলাম নদী অনন্তনাগ থেকে সমস্ত লক গেট খুলে দিয়েছে। পাকিস্তানের মুজাফফারাবাদ প্রায় ভাসতে শুরু করেছে। এতে পাকিস্তানের তরফে বলা হচ্ছে, ভারত ইচ্ছে করে সমস্ত লক গেট খুলে দিয়ে বন্যা সৃষ্টি করছে দেশে। এবং পাকিস্তানের চেয়েছিলাম তীরবর্তী অঞ্চল রয়েছে, সেখানে লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে। সে দেশে আবার কেউ কেউ বলছে, ভারত আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘন করছে। কিন্তু জঙ্গিদের সঙ্গে আবার কিসের নিয়ম, অন্তত যারা নিরীহ ২৬ জন মানুষকে বেছে বেছে গুলি করে খুন করে দিতে পারে, তাদের উপর পদক্ষেপ করার জন্য কিসের নিয়মের কথা বলছে তারা? স্ত্রী, সন্তানদের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় ভাসিয়ে দিল যারা, তাদের জন্য এর থেকে বড় কিছু অপেক্ষা করছে। এই ঘটনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কার্যত হুংকার ছেড়ে বলেছেন, এর পরিনাম ভয়ংকর হতে চলেছে।
অনেকে বলছেন, তবে কি ফের একবার ভারত পাকিস্তানের ওপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করবে? তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত খুব সন্তর্পনে পা ফেলছে। যুদ্ধক্ষেত্রে ভারতের রনতরি আলাদা। ভারতের কাছে এই মুহূর্তে যে সামরিক শক্তি রয়েছে, তাতে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ হলে, তাদের গুড়িয়ে দিতে বেশি সময় লাগবে না। কিন্তু এই মুহূর্তে যুদ্ধক্ষেত্রে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করার কথা হয়তো ভাবছে না ভারত। তবে পরিস্থিতি বুঝে লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়েই এই লড়াই চালিয়ে ফেলবে ভারত সরকার। তবে তার আগে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে নয়া দিল্লি। সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল ছাড়াও পাকিস্তানিদের ভিসা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আটারি সীমান্ত বন্ধ। এইবার ঝিলাম নদীর জল ছেড়ে দেওয়ার মহাবিপদে পাকিস্তান। এখন দেখার, ভারত থেকে আর কি অপেক্ষা করছে পাকিস্তানের জন্য!
Discussion about this post