পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন পর্যটককে খুন করেছে জঙ্গিরা। একদিকে গোটা দেশ যেমন শোকস্তব্ধ, তেমন অন্যদিকে কড়া প্রত্যাখাত চাইছে গোটা দেশ। এমনকি এই ঘটনায় সরাসরি ভারত নিশানা করেছে পাকিস্তানকে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করেছে নয়া দিল্লি। তবে আরও পদক্ষেপ করলে পাকিস্তানের টেকাটাই দায় হয়ে যাবে, সেটা জানে গোটা পাকিস্তান। ভারত বড় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। আরব সাগরে যুদ্ধের মহড়া দিচ্ছে ভারতীয় নৌ সেনা। একাধিক রনতরী আরব সাগরে মহড়া দেয়। তার সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়। যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র গুলি কতটা সক্ষম, প্রত্যাঘাত করতে কতটা শক্তিশালী সেটি দেখা হয়। অনেকেই বলছেন, ভারতের প্রস্তুতি একেবারে তুঙ্গে। এবার যে ভারত কড়া প্রত্যাঘাত হানবে, এই মহড়া দিয়ে তারই বোঝানোর চেষ্টা চলছে। জানা যাচ্ছে, এই মহড়াতে যে সমস্ত অস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম ব্রাহ্মমস। মাঝ সমুদ্র থেকে এটি ছোড়া হয়েছিল। খবর রয়েছে, পাকিস্তান ভারতের এই মহড়া তে ভয় পেয়েছে। কার্যত তারা অসন্তুষ্ট। জানা যাচ্ছে, নৌ মহড়াতে অংশ নিয়েছে INS কচি, INS বিশাখাপত্তনম, INS কলকাতার মতো যুদ্ধ জাহাজ। এমনকি INS বিক্রমাদিত্য এই মহড়াতে যোগ দেয়। তারা কতটা শক্তিশালী এবং শত্রু দেশকে প্রতিহত করার জন্য কতটা সক্ষম, সেটাই এই মহড়াতে ধরা পড়ে।
একদিকে যখন ভারতের নৌ মহড়া চলছে অন্যদিকে পাকিস্তানও করাচি নৌ ঘাঁটি এলাকাতে যাবতীয় যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করে। পহেল গাঁয়ের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করা হুশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই ঘটনায় যোগ্য শাস্তি হবে। এছাড়াও ভারত একের পর এক বৈঠক করছে কড়া প্রত্যাঘাতের জন্য। দেশের টিম বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনকি নৌবাহিনীর প্রধান জানিয়েছেন, সদা প্রস্তুত রয়েছে ভারতীয় নৌ-বাহিনী। যেকোনও প্রয়োজনে ঝাঁপিয়ে পড়বে সেনা। প্রসঙ্গত, বিহারের মধুবনী সভা থেকে হুংকার ছেড়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, কাশ্মীরের ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনায় গোটা দেশ শোকস্তব্ধ। পাশাপাশি কোটি কোটি দেশবাসী নিহতদের পরিবারের পাশে রয়েছে। তবে এবার সন্ত্রাসীদের মাটিতে মিশিয়ে দেবার সময় এসেছে। ঠিকই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, শুনুন
ভারতের শুধুমাত্র হুংকার হুশিয়ারি দিচ্ছে শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে। এমনকি সমস্ত বাহিনীকে সজাগ রেখেছে নয়া দিল্লি। যে কোনও পরিস্থিতিতে তারা ঝাঁপিয়ে পড়বে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন দেখার, নৃশংস ঘটনার প্রত্যাঘাতের সময় কখন আসে।
Discussion about this post