২০১৪ সালে ভারতের কেন্দ্রে আসে বিজেপি সরকার। মসনদে বসেন নরেন্দ্র মোদী। মোদীর শাসনকাল পেরিয়ে গিয়েছে ১০ বছর। এরমধ্যে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পরর্কে পৌঁছেছে তলানিতে। উত্তরে চীন, নেপাল, দক্ষিণে মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা, পশ্চিমে পাকিস্তান এবং সর্বশেষ পূর্বে মায়ানমারের পর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত গুটি সাজাচ্ছে। যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে মোদী সরকার। তবে অস্ত্রশস্ত্র জোগানের জন্য যে দেশটির উপর নির্ভর করতে হয়, সেই মস্কো থেকে আর অস্ত্র জোগান নেবে না ভারত। কিন্তু কি এমন হল?
সম্প্রতি বেশ কিছু গণমাধ্যম সূত্রে ভারত এবং রাশিয়ার সম্পর্ক চাউর হয়েছে। যেখানে বলা হচ্ছে মস্কো থেকে অস্ত্র কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়া দিল্লি। এর জন্য নাকি বেছে নেওয়া হচ্ছে পশ্চিমাদের। স্বাধীনতার পর থেকে সমরাস্ত্র জোগানোর জন্য ভারত রাশিয়ার উপরই নির্ভরশীল। তাই মস্কো থেকে অস্ত্র আসবে না। এমনই রিপোর্ট উঠে আসছে। জানা যাচ্ছে, ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে কিছু প্রতিরক্ষা চুক্তি পিছিয়ে গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যস্ত থাকায় রফতানির বদলে নিজ সেনাদের জন্য অস্ত্র তৈরিতে মনোযোগ দিয়েছে পুতিন প্রশাসন। এর জেরে ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নিয়েছে বাজার হিসাবে। যদিও ভারতের গতিবিধির উপর নজর রাখছে রাশিয়া। এদিকে নয়াদিল্লির জন্য দরজা খোলা রেখেছে ওয়াশিংটন। তবে এদিকে একটি বিষয় উঠে আসছে। তা হল, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের চুক্তি বাতিল না করে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে এরমধ্যে প্রমাণ পাওয়া গেল, পরাশক্তির সঙ্গে কৌশলে সুম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে নয়া দিল্লি। অনেকে বলছেন, এটি যুদ্ধের পূর্ববর্তী সময়। তবে আগের সম্পর্ক অনুযায়ী রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখবে ভারত।
তবে ভারত বরাবরই নিজেদের দেশের স্বার্থের কথা আগে ভাবে। যেমন, পরমাণু বোমা তৈরির অপরাধে এই যুক্তরাষ্ট্রই ১৯ বছর ধরে নিষেধাজ্ঞায় বেধে রেখেছিল ভারতকে। তবে দুপক্ষকের সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় ভারত। অস্ত্রশস্ত্র না এলে জ্বালানি তেল আসছে রাশিয়ার মস্কো থেকে।
এদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। দেশ থেকে প্রায় রোজই ধেয়ে আসছে নানা মন্তব্য। যা নয়া দিল্লিকে উস্কাচ্ছে। তবে ভারতের কূটনৈতিকদের মতে, এতে কোনও ভুল পদক্ষেপ করবে না ভারত। বাংলাদেশের মতো একটি ক্ষুদ্র দেশ কিছুতেই ভারতকে চাপে রাখতে পারবে না। তবে তাদের কোনও মন্তব্যে ভারত ভুল পদক্ষেপ করবে না। আর তার মধ্যেই খবর, ভারত রাশিয়া থেকে অস্ত্রশস্ত্র কিনবে না। দুই দেশের চুক্তি কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছে। ফলে ওয়াশিংটন থেকে আমদানি করছে ভারত। তবে এই পরিস্থিতি এমন একটি সময় তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে।
Discussion about this post