বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি কী এবং এটি কতদিন টিকে থাকবে, তা নিয়ে নানারকম বিশ্লেষণ করেছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কিন্তু এবার এই দলের শীর্ষ নেতারাই স্বয়ং, আশঙ্কা প্রকাশ করছেন নিজেদের দলের অস্তিত্ব নিয়ে। অভিযোগগুলো সামনে আসতেই মনে করা হচ্ছে ভারতের RAW এর প্রেসক্রিপশনে মহম্মদ ইউনূসের উপদেষ্টা নিয়োগ পাচ্ছে। কিন্তু এবার এনসিপি তাদের দলীয় তৃতীয় সাধারণ সভায় দলের নীতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন অভিযোগের মুখে পড়েন এনসিপির আহ্বায়করা।
বিভিন্ন ইস্যুতে দলীয় কাঠগড়ার মুখোমুখি হতে হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির বা এনসিপির শীর্ষ নেতাদের। বৃহস্পতিবার দলটির তৃতীয় সাধারণ সভায় জবাব চাওয়া হয়েছে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ শীর্ষ নেতাদের কাছে। সেই সঙ্গে দলীয় কার্যক্রম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, নানা কর্মকাণ্ডে আমাদের ৬০ ভাগ রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে। বাকি ৪০ ভাগ কতটুকু ধরে রাখা সম্ভব এটা নিয়েও আশঙ্কা আছে।
উল্লেখ্য জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সংগঠক প্রতীম সোহাগ, যুগ্ম সদস্য সচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে আর্থিক অনিয়ম ও সভায় দুর্নীতি ও দলীয় নীতিবিরুদ্ধ কর্মকাণ্ডের জন্য অভিযোগের কাঠগোড়ায় উঠতে হয়েছে। আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের বিরুদ্ধেও বেশ কিছু অসন্তোষ সামনে এসেছে । একইসঙ্গে আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টিও উঠে আসে এনসিপি’র তৃতীয় সাধারণ সভায়।
দলের যুগ্ম আহবায়কের দাবি, কোথা থেকে টাকা আসছে, কোথায় খরচ করা হচ্ছে তা কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে স্পষ্ট থাকতে হবে। কোনো ব্যক্তির আর্থিক অস্বচ্ছতার দায়ভার পুরো দল নিতে পারে না বলেও স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় কমিটির অনেকে মনে করেন, আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম প্রত্যাশা অনুযায়ী দলকে নেতৃত্ব দিতে পারছেন না। দুর্নীতি ও দলীয় নীতিবিরুদ্ধ কাজ করাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেননি।
এরপরই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি জানিয়েছে, সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রস্তাব করেন মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহ।
Discussion about this post