বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম মিথ্যাচার করছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক ঘিরে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন তিনি। এমনটাই অভিযোগ উঠে আসছে তার বিরুদ্ধে। এমনকি অভিযোগ উঠছে, এই বৈঠকে যে যে বিষয় উঠেইনি, সেগুলি নিয়ে নিজের মতো করে মন্তব্য করছেন শফিকুল আলম। কিন্তু কেন? এই মিথ্যে খবর ছড়িয়ে তাদের কি লাভ? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই পোস্ট তিনি করেছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস। কিন্তু ভারত তেমন গুরুত্ব দেয়নি। শেষমেষ বৈঠক হলেও তার ২৪ ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই সংঘাতের বাতাবরণ। বৈঠক শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে যেমন পোস্ট করেন, তেমনভাবে বাংলাদেশের প্রেস সচিব শফিকুল আলমও পোস্ট করেন। সেখানেই বাঁধে গণ্ডগোল।
নরেন্দ্র মোদী এক্স এ লিখেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। দুই দেশের একটি গঠনমূলক ও জনগণ কেন্দ্রিক সম্পর্কের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও লিখেছেন, আমি বাংলাদেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা, এবং সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। যাতে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা না ঘটে, তারই নিশ্চিত করেছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। পাশাপাশি যারা এর সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন।
অন্যদিকে খবর উঠে আসছে, শেখ হাসিনা প্রসঙ্গ উঠেছিল বৈঠকে। সেখানে নাকি মোহাম্মদ ইউনুস হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। কিন্তু তাতে মোদি তেমন কোনও উত্তর দেননি। কিন্তু বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেসবুক লেখেন, হাসিনার প্রত্যপন প্রসঙ্গ উঠলে তাতে নেতিবাচক ছিলেন না মোদী। কিন্তু এটা আদতে ভুয়ো খবর। বলছে ভারতীয় বহু গণমাধ্যম।
উল্লেখ্য, এর আগে বহুবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসার আবেদন করেছিলেন ইউনূস। কিন্তু ভারত কর্ণপাত করেনি। সম্প্রতি ইউনূস চীন সফরে গিয়ে ভারতের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে এসেছেন। যেটা মোটেই ভালো চোখে দেখেনি ভারত। বারে বারে ভারতের সঙ্গে শত্রুতা তৈরি করে আবার ভারতের সঙ্গে বৈঠকে বসার আবেদন করছেন। কাজের স্বাভাবিকভাবেই ভারত এর কোনও উত্তর দেয়নি। তবে থাইল্যান্ডে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের তরফে আবেদন আর এড়ানো যায়নি। শেষমেষ বৈঠকে বসতে রাজি হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও ২৭মিনিট অপেক্ষা করে মোদীর দেখা পান নোবেল জয়ী। এখন দেখার, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ দেশের শান্তির বজায় রাখার বার্তাতে কি পদক্ষেপ করেন বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মাদ ইউনূস।
Discussion about this post