হাদি হাদি করে চিৎকার করা? সেভেন সিস্টার্স কেড়ে নেওয়ার হুমকি? পাকিস্তানের সঙ্গে প্রেম? কিছু না কিছু হলেই খালি ভারতে দিকে আঙুল তোলা? একজনের বক্তব্য ওই সব দাবি, হুমকি ছুঁড়ে ফেলে দিল। পড়ল গিয়ে সোজা ভাগাড়ে। এটা অনেক আগে হলে ভালো হত। কিন্তু ‘Better let than never’ বলে একটা কথা রয়েছে। তাই, শেষবেলায় হলেও হয়েছে তো।
বক্তব্য বললে ভুল বলা হবে। ভদ্রলোকের মিষ্টি কথা আসলে তদারকি সরকার প্রধানের গালে চড় কষিয়ে দিয়েছে। সেই চড় খেয়ে ভদ্রলোক নিজের গালে খালি চড় মেড়ে যাচ্ছেন। আর আবোলতাবোল বকে চলেছেন। এই ভদ্রলোক সবকিছুই বলেছেন তদারকি সরকারের দেশে বসে। ভারত বিরোধিতা বন্ধ করার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি নির্বাচন নিয়েও কথা বলেছেন। তদারকি সরকারের কাছে তাঁর আশা, আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। নির্বাচন হবে অবাধ। হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক। নির্বাচনী প্রচারে সব রাজনৈতিক দলকে সমানাধিকার দেওয়া হবে।
এই ভদ্রলোকের নাম আলেকজান্ডার জি খোজিন। তিনি বাংলাদেশ নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত। তাদের দেশের দূতাবাসে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি ইউনূস সরকারকে ভারত – বিরোধিতা বন্ধের পরামর্শ দিয়েছেন। কী বলছে, আগে সেটা তুলে ধরা যাক।
We are monitoring the situation. Because this is… important for both countries and for the region also, for South Asia also. Historically in 1971, Bangladesh gained independence. It was mostly because of Indian help. And Russia also supported in this regard. And shoulder to shoulder India, Bangladesh and Russia, we came together. So my suggestion is this tension must be reduce as soon as possible. The sooner you reduce tension … the better.
রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য
রাষ্ট্রদূত যা বলেছেন, তার বাংলা করলে দাঁড়াবে, আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছি। কারণ, এটা দুটি দেশ, অঞ্চল, এবং দক্ষিণ এশিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। সেটা সম্ভব হয়েছে ভারতের জন্যই। রাশিয়াও কিছুটা সাহায্য করেছিল। ভারত-বাংলাদেশ ও রাশিয়া কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসঙ্গে হয়েছে। তাই আমার পরামর্শ, উত্তেজনা যত দ্রুত নিরসন করা যায়, ততই ভাল। যত দ্রুত উত্তেজনা প্রশমন করা সম্ভব হবে, ফল তত ভালো হবে।
রাষ্ট্রদূত এটাও জানিয়েছেন, রাশিয়া ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চায় না। তবে রাশিয়া মনে করে দুই দেশের সম্পর্ক বর্তমানে যে স্তরে রয়েছে সেখান থেকে উত্তেজনা যে আর বাড়তে না পারে। সে জন্য একটি উপায় খুঁজে বের করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। সম্পর্ক পারস্পরিক বিশ্বাস এবং আস্থার ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত বলে রুশ রাষ্ট্রদূত অভিমত ব্যক্ত করেন।
কিন্তু সেটা তদারকি সরকার প্রধান এবং তাঁর কচি সংসদের সংসদ সদস্যদের কে বোঝাবে। গত জুলাই অগাস্টের পর থেকে তো শুরু হয়েছে লাগাতার ভারত –বিরোধিতা। সরকারের তরফে যেমন করা হয়েছে, তেমন করা হয়েছে, জুলাই-অগাস্ট আন্দোলনে থাকা প্রথম সারির নেতাদের মুখে তো শোনা গিয়েছে ভারত-বিরোধী বক্তব্য। সে সব কিছুতে যে ইতি টানার সময় হয়েছে, সেটা বুঝিয়ে দিলেন আলেকজান্ডার জি খোজিন।












Discussion about this post