এই প্রতিবেদনের প্রথমেই বলে রাখা উচিৎ এই বিষয়ে আমাদের মতামত, উচিৎ এবং অনুচিৎ নিয়ে মতামত থাকতে পারে। কিন্তু সঠিক এবং ভুল ঠিক করবে ভারতের নির্বাচিত সরকার, এবং সেটিও দেশের সম্মান,স্বার্থ এবং “অভ্যন্তরীণ সার্বভৌমত্ব” বজায় রেখে। আর এ বিষয়ে কোন ভারতবাসীর মনে কোন সন্দেহ নেই। যদিও অনেক ভারতীয় নাগরিকই মনে করেন যে হাসিনাকে তার দেশে পাঠানো হবে, তবে সেটি সঠিক সময়ে। আর সেই সঠিক সময় সমন্ধ্যে একটি ধারণা পেতে হলে এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ দেখতে হবে।
হাসিনাকে দেশ ছাড়া করা হয়েছে কোন উপায়ে এবং কে করেছে, সেটি যদি দেখা হয় তাহলে ধুয়াশা ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যাবে না। হাসিনা ছিলেন প্রধানমন্ত্রী, আর রাষ্ট্রপতি বা সেনাপ্রধান কেউ তাকে দেশ ত্যাগ করার হুমকি দেননি।আর হাসিনাও দেশ ছাড়তে চাননি, তাকে তার আত্মীয়রা বোঝানোর আগে সেনা বুঝিয়েছে যে এই রকম একটা ভীড়ই ১৯৭৫ সলের ১৫ই আগষ্ট তার পরিবারের ১৭ জনকে হত্যা করেছিল।আর পাকিস্তানপন্থিদের হয়তো উদ্যেশ্য ছিল এই অগাস্টে সেই ১৯৭৫ এর কর্মকান্ডকে সম্পূর্ণ রূপ দেওয়ার, তাতে হয়তো পাকিস্তানের দেশ ভাগের জ্বালা কিছুটা মিটতো, সে দিক দিয়ে দেখলে তাকে বাঁচানোর জন্যই সেনাপ্রধান সেনাবাহীনির বিমান দিয়ে সুরক্ষিত স্থানে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। যেখানে তিনি এর আগেও এই একই রমক বিপদে সুরক্ষা পেয়েছেন। এখন প্রশ্ন কে বা কারা তাকে বিচারের জন্য চাইছেন। যারা চাইছেন তারা কি নির্বাচিত কোন প্রতিনীধি। তা তো নয়। বলা হচ্ছে হাসিনা জোর করে ভোট দখল করে নির্বাচিত হয়েছেন। তো এখন যে প্রতিবাদটা করেছেন, সেটা তখন করেন নি কেন। আর ভোট নিয়ে, কোন দেশের কোন বিরোধীই সন্তুষ্ট হননি। এমনকি গত নির্বাচনে ট্রাম্পও হেরে গিয়ে বলেছিলেন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আপনাদের দেশের অনেকের মতই অনেক ভারতীয় মনে করেন যে সুষ্ঠ নির্বাচন হলে,এবং আওয়ামিলীগ দলটিকে ভোটে অংশ গ্রহন করতে দিলে, তারাই আবার ভোটে জিতবে। আর যদি বিএনপি জেতে, তাহলে বিএনপি জনগনের দ্বারা নির্বাচিত সরকার হিসাবে হাসিনাকে ফেরত চাইতে পারেন। হাসিনাকে নিয়ে ভারত যে সঠিক পদক্ষেপ করবে তা পাকিস্তানপন্থি বাংলাদেশীরা বুঝতে না পারলেও সারা পৃথিবী বুঝেছে, তাই তারা এ নিয়ে কোন মন্তব্য করেনি। আসলে আন্দোলনের সময়টা দেখলে বোঝা যায়, কেন এই আন্দোলন আর কাদের এতে আগ্রহ বেশী ছিল।এবং কেন ঘোষিত দিনের একদিন আগেই গনভবনের উদ্যেশ্যে জনগনকে ক্ষেপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ভারত চাই যে বাংলাদেশে সুস্থিরতা বজায় থাকুক, তাই হাসিনা সরকারের সঙ্গে চুক্তি করা বিষয়গুলিকে এখনও ভারত মান্যতা দিয়ে চলেছে, সে বাংলাদেশে খাদ্য দ্রব্য পাঠানো হোক বা বিদ্যুৎ। তবে বাংলাদেশ যদি জেদাজেদি করে তাহলে ভারতেরই লাভ হবে। চিকেন নেকটা আর চিকেন নেক থাকবে না,ওটা ভারতের হাতির পা হয়ে যাবে। কারণ ভারত চাইলে ১৯৭১ সালেই নিজের সুবিধা মত বিস্তার করে নিয়ে, বাংলাদেশকে বাংলাদেশ ফিরিয়ে দিত। আর এখন তো ভারত অনেক ভাবেই চিকেন নেকের বিস্তার করে নিতে পারে। আর যখন আবার হাসিনা বাংলাদেশে ফিরবে তখন না হয় বাংলাদেশকে তা অখন্ডতা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তবে সবটাই আমাদের কল্পনা। ভারতসরকারে সঠিক পদক্ষেপের অপেক্ষায় দু-ই দেশের জনগন। তবে আমরা বলব হাসিনাকে ফেরৎ পেতে হলে দেশে দ্রুততার সঙ্গে ভোট করান। আবার এটাও ঠিক যে আপনারা যতদিন সময় নেবেন ততই আপনাদের স্বরূপ বেরিয়ে আসবে। আপনাদের দেশের জননগন আপনাদের চিনতে পারবে।
Discussion about this post