বাংলাদেশে অশান্তি বাড়ছে আর ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে জঙ্গি ধরা পড়ছে। তারমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে একাধিক জঙ্গি ধরা পড়েছে। তবে সতর্ক ভারত। কিন্তু বাংলাদেশে আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে আরাকান আর্মি। ইতিমধ্যেই আরাকান আর্মিরা দখল করে নিয়েছে একটি অঞ্চল তা ছবি পোস্ট করে জানিয়ে দিল তারা। অর্থাৎ দিনে দিনে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী। পাশাপাশি তারা যে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছে, তাও তারা জানিয়ে দিল তাদের পোস্টের মাধ্যমে।
এদিকে গ্বা দখল করে নিয়েছে আরাকান আর্মি। তারা সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে জানিয়ে দিয়েছে এই খবর। এদিকে কিছুদিন আগে তারা সিতওয়ে বন্দরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। মনে করা হচ্ছিল, সেটি তারা দখল করতে পারে। কিন্তু আদতে গ্বা বলে জায়গাটি রয়েছে, তা মায়ানমারের অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল। সেটি দখল করে নিচ্ছে আরাকন আর্মি। রাখাইনের একদম শেষ প্রান্তে এই অঞ্চলটি। বলা যায়, অনেকটা এগিয়ে গেল আরাকান আর্মি।
বিবিসি সূত্রে খবর, মায়ানমারের এক চতুর্থাংশ ছাড়া বাকিটি আরাকানদের দখলে। অর্থাৎ জুন্টা সরকারের হাতে মাত্র এক চতুর্থাংশ অঞ্চল। তবে এখনও পর্যন্ত দেশটির প্রথান শহরগুলির নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতেই রয়েছে বলে খবর। তবে তা অত্যন্ত বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে। এদিকে স্বাধীনভাবে রাখাইন রাজ্য প্রতিষ্টায় দ্রুত এগিয়ে চলেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। জুন্টা বাহিনীর হাতে শক্তিশালী যুদ্ধাস্ত্র থাকা সত্বেও তাদের একের পর এক অঞ্চল হাতছাড়া হচ্ছে। রাখাইন রাজ্যের আন শহরের ৩০টির বেশি সেনাঘাঁটির দখল নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। আরাকান আর্মিদের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তারা জানায়, জুন্টা সরকারের ওয়েস্টার্ন মিলিটারি কমান্ডের অল্প সংখ্যক সদস্য তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এখও পর্যন্ত। এমনকি তাদের সরকারের তরফে ছোড়া গোলা বর্ষণে আহত হচ্ছে তাদের সেনারা। এমনকি তারা একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছে। দেখা যায়, ওয়েস্টার্ন মিলিটারি কমান্ডের সদর দফতর ভবন আশপাশের এলাকায় বিস্ফোরণ হতে দেখা যায়। এমনকি জুন্টা বাহিনীর সদস্যদের আত্মসমর্পণও করতে দেখা যায়।
কিছুদিন আগেই আরাকান আর্মি আরও একটি ভিডিও পোস্ট করে। সেখানে ভিডিওতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে তারা বোমা বর্ষণ করেছে। মূল যে চট্টগ্রাম বন্দর অঞ্চল, বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে লাগোয়া, তারও পূর্বে বেশ খানিকটা পাহাড়ি অঞ্চল রয়েছে, সেগুলি পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্যে পড়ে। সেখানে তারা বোমা বর্ষণ করেছে। মায়ানমার আর্মি থেকে যুদ্ধাস্ত্র জোগাচ্ছে আরাকান আর্মি। ফলে দিনে দিনে যুদ্ধক্ষেত্রে শক্তিশালী হয়ে উঠছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এটি বুঝেও গিয়েছে বাংলাদেশের তদারকি সরকার। এই কারণে একদিকে প্রবল চাপে বাংলাদেশের তদারকি সরকার। অন্যদিকে মায়ানমারের জুন্টা সরকার।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ দাবি করছে, মায়নমারের সরকার পতনের শুধু সময়ের অপেক্ষা। এদিকে চিন্তা বাড়াচ্ছে বাংলাদেশকে। এর ফলে আরও চিন্তা বাড়াচ্ছে ইউনূসের।
Discussion about this post