সাম্প্রতি সীমান্তের কাছে তুরস্কের তৈরি ড্রোন লক্ষ্য করা যায়। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয় ভারত। সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ভুয়ো বলে দাবি করে। তাদের বক্তব্য, তারা তাদের বর্ডার সিকিউরিটি বাড়াতে যেখানে ড্রোন মোতায়েন করার দরকার ছিল, সেটাই করা হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার পর থেকে অনেক জল্পনা শুরু হয়। অনেকেই বলতে শুরু করে, বাংলাদেশের এই কার্যকলাপকে আর কতদিন উপেক্ষা করবে ভারত? এইবার ভারত পদক্ষেপ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, ভারতের তরফে সরাসরি হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ যদি আর কোনওভাবে ভুল পদক্ষেপ করে, তাহলে ভারতের এয়ারফোর্স এমনভাবে আঘাত দেবে, যে সেই আঘাত পাকিস্তানও মেরামত করতে পারবে না। সাম্প্রতি, বাংলাদেশ তাদের প্ররোচনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ তাদের কার্যকলাপ অব্যাহত রেখেছ। বিশেষ করে বাংলাদেশ এবং মেঘালয়ের মধ্যে থাকা সীমান্তে তুরস্ক থেকে কেনা ড্রোন মোতায়েন করা শুরু হয়েছে। সীমান্ত থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে মোতায়েন করা হয়েছে। অর্থাৎ স্পষ্ট করে বলা যায়, যেকোনও মুহূর্তে বাংলাদেশের জিরো লাইন অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করে যাবে।
এদিকে ভারতের এয়ারফোর্সের তরফে বলা হয়েছে, যদি সীমান্ত অতিক্রম করে এই ড্রোনগুলি তবে ভারতের এয়ারফোর্স সেগুলিকে ডেস্ট্রই করবে। এদিকে বাংলাদেশ পাকিস্তানের থেকে একাধিক উন্নতমানের যুদ্ধাস্ত্র নেওয়ার কথা ভাবচ্ছে। ইতিমধ্যে সূত্র মারফৎ খবর, পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে এসেছে একাধিক যুদ্ধাস্ত্র। ২০২৫ সালের মধ্যেই বাংলাদেশের হাতে আসতে চলেছে একঝাঁক উন্নত যুদ্ধাস্ত্র। ব্যাপক হারে অর্থ ব্যায় করে তুরস্ক, পাকিস্তান থেকে যুদ্ধাস্ত্র নিচ্ছে বাংলাদেশ। তার অভিমুখ যে ভারতের দিকে থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। তবে হাত গুটিয়ে বসে নেই ভারতও। তা হল অগ্নি ফাইভ। যা গেম চেঞ্জার হতে চলেছে ভারতের। এতদিন আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের হাতে এই উন্নতমানের প্রযুক্তি ছিল। এবার ভারতও এই অত্যাধুনিক অস্ত্র আসতে চলেছে। এটির রয়েছে একসঙ্গে ১১টি টার্গেট হিট করার ক্ষমতা। সম্ভবত আমেরিকা এবং রাশিয়া ছাড়া আর কোনও দেশের হাতে নেই। রাফাল তে রয়েছেই। ডবল ইঞ্জিনযুক্ত রাফাল যুদ্ধক্ষেত্রে ছবি পর্যন্ত তুলে নিয়ে আসতে পারে। এমনকি সামনে এসেছিল সুখোই ৫৭। রাশিয়া থেকে ভারত পেতে চলেছে সুখোই ৫৭। যা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং সারা বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী ফাইটার জেট। এর প্রতিদ্বন্দ্বী হল এফ ৩৫ আমেরিকা। যা আমেরিকা-সহ ন্যাটোর গোষ্ঠীবদ্ধ দেশগুলি এই প্রযুক্তি সামনে এনেছে। এফ ৩৫ আমেরিকার সঙ্গে সুখোই ৫৭, যা রাশিয়া থেকে পেতে চলেছে ভারত, তুল্যমূল্য বিচার করলে দেখা যাচ্ছে… সুখোই ৫৭-এর রয়েছে ডবল ইঞ্জিন। যা এফ ৩৫ আমেরিকায় রয়েছে একটি ইঞ্জিন। এমনকি তথ্য বলছে সুখোই ভাসমান অবস্থায় সাড়ে পাঁচ ঘন্টা ফাইট করতে পারে, যেটি এফ ৩৫ পারে সাড়ে তিন ঘন্টা। সুখোই ৫৭, ৩৫ হাজারেরও বেশি অস্ত্র বহণে সক্ষম। যেটি এফ ৩৫, ৩১ হাজার অস্ত্র বহণ করতে পারে। অর্থাৎ, বলাই বাহুল অনেক বেশি শক্তিশালী সুখোই ৫৭।
এদিকে বাংলাদেশ তাকিয়ে রয়েছে পাকিস্তানের দিকে। যে পাকিস্তান এখন প্রায় দেওলিয়া একটি দেশ। কার্যত তাদের একদিকে আক্রমণ চালাচ্ছে তালিবান অন্যদিকে সীমান্তে বালুচিস্তান। বাংলাদেশেরও চারিদিকের পরিস্থিতি একেবারে শোচনীয়। সেই অবস্থায় এত অর্থ ব্যয় করে কীভাবে তারা দেশকে বাঁচাতে পারবে, সেই প্রশ্নই কার্যত উঠছে। এখন দেখার কি করে ইউনূস!
Discussion about this post