কখনও মৌলবাদী নেতারা, কখনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আবার কখনও ছাত্র নেতা..প্রায় সবার মুখেই শোনা গিয়েছে ভারত বিরোধী স্লোগান। প্রকাশ্য সভা থেকে, আবার কখনও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভারতের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তারা। অর্থাৎ গোটা বাংলাদেশে এখন ভারত বিরোধী জিগির ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। তবে এই ভারত বিরোধী জিগির যতক্ষণ পর্যন্ত মৌখিকভাবে প্রতিফলিত হচ্ছিল, ততক্ষণ পর্যন্ত গুরত্ব দেয়নি ভারত। যখন বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকা কর্তাব্যক্তিরা এমন হুঁশিয়ারী দেন, তখন তো ভারতকে নড়চড়ে বসতেই হল।
যে পাকিস্তানিদের সঙ্গে লড়াই করে নিজেদের রাষ্ট্র গঠন করল, সেই পাকিস্তানের সঙ্গে দেশটি সব ভুলে সখ্যতা তৈরি করেছে। সামরিক থেকে বানিজ্যিক সখ্যতায় পৌঁছেছে দুই দেশের সম্পর্ক। নিজেদের জাত, মান খুঁইয়ে এখন পাকিস্তানিপন্থী হয়েছে গোটা বাংলাদেশে। এমনকি গোটা বাংলাদেশের মানুষকে ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানি দিতে দেখা যাচ্ছে কর্তা ব্যক্তিদের। এর ফলে নজর দিতেই হচ্ছে এইবার ভারতকে। কারণ প্রতিবেশী হলেও ভারতের প্রধান শত্রু হল পাকিস্তান। আর সেই পাকিস্তানই এখন বাংলাদেশের সবথেকে কাছের। যদিও কূটনৈতিক কিছু পদক্ষেপ করে ভারত বাংলাদেশকে বোঝাতে চায়। কিন্তু তাতে কাজের কাজ হয়নি। একাধিকবার ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বার্তা দেওয়া হয় বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারকে। কিন্তু তাতে তাতে ভারতের কথা শোনা তো দূরস্থ, হরং বাংলাদেশে সনাতনীদের উরর লাগাতার চলতে থাকা নির্যাতন আরও বাড়তে থাকে। হিন্দু মন্দির ভাহচুর থেকে বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া, মহিলা, শিশুরাও পার পাচ্ছে না। ভয়ঙ্কর সব খবর উঠে আসছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে। এমনকি ভুয়ো মামলাতে ইস্কনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার পর্যন্ত করে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের পুলিস। চট্টগ্রামে গমতন্ত্র লুন্ঠিত হতে দেখল গোটা বিশ্ববাসী। দেশের মদ্যে দাপট দেখা গেল পাকিস্তানিদের। এরকম একটি পরিস্থিতিতে হঠাৎই জেগে উঠল আরাকান আর্মি। এই সশস্ত্র বাহিনী মুংডু-সহ রাখাইন অঞ্চল দখল করে নিয়েছে।বাংলাদেশের উপর চাপ বাড়িয়ে গেরিলা আক্রমণ চালিয়েছে কক্সবাজার এলাকায়। এদিকে ভারত বিরোধী বাড়াতে বাড়াতে নিজেদের দেশ সুরক্ষিত রাখতেই ভুলে গিয়েছিল দেশটি। এইবার প্রবল চাপে পড়েছে বাংলাদেশে। এ
দিকে পাকিস্তানের থেকে স্বল্প দৈঘ্যের মিসাইল কেনার বিষয়ে উদ্যোগী হয় ঢাকা। যেন পাকিস্তান এখন ত্রাতা। কিন্তু পাকিস্তান নিজেদের বাঁচাতেই এখন মরিয়া। কারণ তালিবানির আক্রমণে কাঁপছে পাকিস্তান। তেহেরিক-ই-তালিবানের আক্রমণে বিধ্ব্স্ত হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। অন্যদিকে পাকিস্তানের পাল্টা দৃষ্টি আফগান চিকেন নেক। কিন্তু সেখানেও ভারতের প্রভাবে চাপে পড়েছে পাকিস্তান। কারণ ওয়াকান সীমান্তে গিসার এয়ারবেসে এয়ারক্রাফ্ট সক্রিয়া করা হয়েছে। তবে কি রাজনীতি এবং কূটনৈতিক চালে মাত দিল পাকিস্তান এবং বাংলাদেশকে? কারণ সম্প্রতি দিল্লি ঘুরে গিয়েছে আরাকান আর্মির প্রধান তোয়াং মার্ত নায়াং। পাশাপাশি তালিবান সরকার ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন খাদ্য এবং ওষুধের জন্য। ফলে ভয়ানক চাপে পড়েছে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান। তবে এইবার দেখার, বাংলাদেশ তার কৃতকর্মের জন্য সাজা পায় কিনা!
Discussion about this post