জো বাইডেন মুহম্মুদ ইউনূসকে ফোন করেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই, এই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। আমেরিকা এই ফোনের কথবাকথন এর পিছনে ঠিক কি কি কারণ লুকিয়ে রয়েছে, সেই বিষয়ে একটি কড়া বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে বোঝা যাচ্ছে, ইউনূস প্রশাসনের উপর থেকে হাত সরিয়ে নিয়েছে বাইডেন সরকারিভাবে। কিন্তু কারণটা ঠিক কি? যে মুহম্মুদ ইউনূস বাইডেনের এতটা প্রিয়পাত্র, তিনি হাত সরিয়ে নিলেন?অন্যদিকে ইউনূসকে সরকারের মাথায় বসানোর জন্য জো বাইডেনের একটি হাত রয়েছে, এমনটাই মনে করে আন্তর্জাতিক মহলের একাংশ। তবে এখন কি তাহলে বেকায়দায় ইউনূস?
জো বাইডেনের ইউনূসকে ফোন করা নিয়ে আমেরিকার প্রেস সচিব কোনওরকম স্টেটমেন্ট দেননি। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভন তিনি এই নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, জাতি ধর্ম নির্বিশেষ সমস্ত মানুষের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে প্রতিশ্রুতির কথা বলেছেন জ্যাক সুলিভন এবং ইউনূস। বাংলাদেশকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় সহযোগিতা করবে আমেরিকা। এমনটাই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নিয়ে জো বাইডেন বুঝিয়ে দিয়েছেন, এতে আমেরিকা কিন্তু একেবারেই খুশি নয়। এই প্রথমবার জো বাইডেন প্রকাশ করলেন একরকমভাবে, যে মুহম্মুদ ইউনূসের উপর তাদের প্রভাব রয়েছে।
জো বাইডেন বুঝে গিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসনিক ক্ষেত্রে নিজের মতো করে সাজিয়ে নিয়েছেন। সেখানে পাত্তা পাবেন না জো বাইডেন। তাই আগেভাবগেই ইউনূসকে সতর্ক করলেন তিনি। তাহলে একেবারে স্পষ্ট, জো বাইডেনের ক্ষমতা কমেছে। সেখানে বাংলাদেশের তদারকি সরকারের মাথার উপর থেকে হাতে সরিয়ে নেওয়া আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। অন্যদিকে সামনে আসছে ডোনাল্ট ট্রাম্পের সঙ্গে জয়শঙ্করের মিটিং। তাও কার্যত গুরত্বপূর্ণ।ভারত যে আমেরিকার অনেকটাই কাছাকাছি তা জানে আন্তর্জাতিক মহলও। শুধু তাই নয়, ইউনূস বাংলাদেশের অভ্যান্তরে কট্টরপন্থী কিছু সংগঠনকে জন্মাতে সাহাষ্য করেছেন। যারা হাসিনার আমলে নিষিদ্ধ ছিল, তাদের সাদরে আমন্ত্রণ করছেন এই তদারকি সরকার। যা ভালো চেখে দেখছে না ভারত, আমেরিকা। ফলে প্রবল চাপে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার।
তারমধ্যেই বাংলাদেশের তদারকি সরকার প্রবল চাপে রয়েছে। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সীমান্তে আরাকানদের প্রবল দাপট লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে থেকে জুন্টা বাহিনীকে হটিয়ে স্বাধীন রাখাইন রাজ্য প্রতিষ্টা করতে চায় আরাকান আর্মি। তাদের দখলের পথে কাচিন রাজ্য। যেটি চীন সীমান্তবর্তী এলাকায়। বহু বছর পর সেনাদের আধিপত্য শুরু হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র জুন্টা সরকারের আয়ত্তে রয়েছে এক চতুর্থাংশ অঞ্চল। আরাকান আর্মিরা মায়ানমারের অনেকটা অংশ দখল করে নিয়েছে। পাশাপাশি তাদের দাপট দিনে দিনে বাড়ছে। এদিকে মাথায় হাত পড়েছে ইউনূসের।
Discussion about this post