বর্তমান বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে চা-চর্চা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২৪ শের বাংলাদেশের পালা বদলের সাথে সাথে সে দেশের শাসনভার বর্তায় মৌলবাদে বিশ্বাসী ইউনূসের হাতে, এবং প্রথম থেকেই ভারতবিদ্বেষী মনোভাব সাথে পোষ্য সন্তানদের বাংলাদেশে বাড়ন্ত সেই দেশকে এক অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে নিয়ে যায়। এরই মধ্যে ভারত বিরোধী নেতা ওসমান হাদীর মৃত্যু ইউনূসের সাপে বর হয়ে দাঁড়ায় এবং একপ্রকার বাংলাদেশ হারিয়ে বিদেশ রটিয়ে দেওয়া হয় এর পিছনে ভারতের হাত রয়েছে। আর সেই চক্রান্তেরই মুখোশ খুলে দিল খোদ ওসমান হাদির ভাই।নিহত ওসমান হাদির ভাই শরীফ ওমর হাদি সরাসরি অভিযোগ করেছেন আসন্ন ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনকে বানচাল করতেই মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরের একটি অংশ পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এবং ছলে বলে কৌশলে ইউনূস ভারতকে দোষী করতে চাইছে।ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি ছিলেন ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক গুরুত্বপূর্ণ মুখ হয়ে উঠেছিল আসন্ন নির্বাচনে একটি আসন থেকে নিজে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছিলেন। গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় খুব কাছ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে একদল দুষ্কৃতী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে সিঙ্গাপুরে এয়ারলিফট করা হলেও ১৮ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এই হত্যাকাণ্ডের পর ঢাকা সহ বিভিন্ন এলাকায় হিংসাত্মক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত জনতা একাধিক প্রথম সারির সংবাদপত্র ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের দফতরে হামলা চালায়। এবং প্রতিবাদের নামে চলে দেদার লুট। অস্থির বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধের আবহে ঢাকার শাহবাগে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় ওসমান হাদির ভাই শরীফ ওমর হাদি সরাসরি অন্তর্বর্তী সরকারকে নিশানা করেন। তিনি জানান আপনারাই ভাই ওসমান হাদিকে খুন করিয়েছেন আর এখন এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে নির্বাচন ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে এভাবেই গুরুতর অভিযোগ তোলেন তিনি।ওমর হাদি আরো জানান, তাঁর ভাই চাইতেন ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হোক। এবং বাংলাদেশে ফিরে আসুক এক স্বাধীন সরকার তাই কি ইউনূসের রক্ত চক্ষু মধ্যে পড়তে হলো ভাই ওসমান হাদিকে? সভা থেকে এই প্রশ্নই তুলে দেন ভাই ওমর হাদি।তিনি সরকারের কাছে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেন, হত্যাকারীদের দ্রুত শাস্তি না হলে নির্বাচনী পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এবং যার সুখ লাভ করবে সরাসরি ইউনূস।এখনও পর্যন্ত তদন্তে সরকারের তরফে কোনও অগ্রগতি চোখে পড়েনি। ওমর হাদি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ওসমান হাদি যদি ন্যায়বিচার না পায় তবে একদিন আপনাদেরও শেখ হাসিনার মতো দেশ ছাড়তে বাধ্য হতে হবে।’ওমর হাদির ইউনুস বিরোধী ডাক এবং জনসমক্ষে ইউনূসের পর্দা ফাঁস করতেই বাংলাদেশ আলোড়ন পড়ে যায়। এবং এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। বাংলাদেশের দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে ওমর হাদির বক্তব্য। আর তাতে করেই রাতের ঘুম উড়েছে ষড়যন্ত্রকারী ইউনূসের।
ওমর হাদির দাবি, তাঁর ভাই কোনও সংস্থা বা ‘বিদেশি শক্তির’ কাছে মাথা নত করেননি বলেই তাঁকে হত্যা করেছে ষড়যন্ত্রকারী ইউনূস ও তার দলবল।এই হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এনেছে ইনকিলাব মঞ্চ। সংগঠনের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের ‘দ্য ডেইলি স্টার’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ওসমান হাদির হত্যা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সাফল্য ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের উদ্দেশ্যে করা একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তাঁর দাবি, আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থা এবং দেশের অভ্যন্তরে সক্রিয় ‘ফ্যাসিবাদী শক্তি’ এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত।ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা সরকারের কাছে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের তদন্ত করে হত্যাকারীদের পরিচয় প্রকাশ্যে আনার দাবি জানিয়েছেন। সেই দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন আরও জোরদার করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা রাজপথ ছাড়বেন না। ফলে বাংলাদেশ যে গৃহযুদ্ধে পরিণত হচ্ছে তা বোঝাই যাচ্ছে।
ওমর বলেছেন যে খুনিদের অবিলম্বে বিচার করা উচিত যাতে নির্বাচনের পরিবেশ প্রভাবিত না হয়। তিনি সতর্ক করে দিয়েছিলেন বলেছেন যদি ওসমান হাদির জন্য ন্যায়বিচার না হয়, তাহলে একদিন আপনাকেও বাংলাদেশ ছেড়ে যেতে হবে। গত বছরের বিক্ষোভের পর ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার কথা উল্লেখ করে ওমর এই কথা বলছিলেন। ওমর অভিযোগ করেছেন যে তার ভাইকে খুন করা হয়েছে কারণ তিনি কোনও সংস্থা বা বিদেশী প্রভুদেরকাছে মাথা নত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ফলে বাংলাদেশে ইউনুস যেভাবে হাদির মৃত্যু ভারতকে দায়ী করতে চেয়েছিলেন এবং হত্যাকারীরা লুকিয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েছে বলে যে নাটক মঞ্চস্থ করতে চেয়েছিলেন তা বাংলাদেশেই এখন হাসির খোরাক হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং ওসমান হাদির ভাই ওমর হাদির সরাসরি ইউনূসকে টার্গেট বাংলাদেশের রাজ্য রাজনীতির মাথায় এক অন্য পালকের সংযোজন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা












Discussion about this post