কীসের স্বার্থে যোগ্যপ্রার্থীকে বঞ্চিত করা হল? কেন কম নম্বরের প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হল? নিয়োগ দুর্নীতির একটি মামলার শুনানিতে এসএসসি’র কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট। এ ব্যাপারে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে পরবর্তী শুনানির আগে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এদিন শুনানি চলাকালীন, আদালতের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় এসএসসিকে। বিচারপতির প্রশ্ন, “এটা এসএসসির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ।
কারণ একাডেমিকসে নম্বর কীভাবে কমে যায় এবং যোগ্যপ্রার্থীকে বঞ্চিত করে কম নম্বরের প্রার্থীকে কীভাবে চাকরি দেওয়া হল?” জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে মামলার পরবর্তী শুনানি। উল্লেখ্য, বারাসতের বাসিন্দা তারিফ আলি ২০১২ সালে আরএলএসটি পরীক্ষায় বসেছিলেন। পরীক্ষায় পাশ করে মেধা তালিকায় স্থানও পেয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন কেটে গেল ও চাকরি পাননি তিনি। মামলাকারীর আইনজীবীর অভিযোগ, মেধা তালিকায় স্থান পেয়েও নিয়োগপত্র পায়নি তারিফ। পরে আরটিআই করলে এসএসসি জানায়, পরীক্ষায় তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৫২।একাডেমিক স্কোরের জন্য নির্ধারিত নম্বরের চেয়ে তাঁকে ২ নম্বর কম দেওয়া হয়েছে। মামলাকারীর আইনজীবী আদালতে এসএসসি’র সমস্ত নথি তথ্য সমেত প্রশ্ন তোলেন, এসএসসির বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, যাঁরা স্নাতকস্তরে ৫০ শতাংশের বেশি নম্বর পাবেন, তাঁরা স্নাতকের ১৪ নম্বরের মধ্যে ১২ নম্বর পাবেন।
অথচ তারিফ স্নাতকস্তরে ৫০ শতাংশের বেশি নম্বর পেলেও তাঁকে ১২ নম্বরের পরিবর্তে ১০ দেওয়া হয়েছে। এসএসসির তরফে সঠিক নম্বর দিলে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর হত ৫৪। অর্থাৎ তারিফ আলি যোগ্য প্রার্থী হওয়ার সত্বেও তাঁকে নিয়োগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। যদিও তারিফ আলির অভিযোগের কোনও জবাব দেয়নি এসএসসি। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন তারিফ।
Discussion about this post