বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই মা দূর্গার বিদেশে যাত্রার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন থেকেই একে একে ফ্রান্স, স্পেন, টেক্সাসের পথে পাড়ি দিচ্ছে কুমোরটুলির দুর্গা। ক্যালেন্ডার বলছে দুর্গা পুজোয় ঢাকে কাঠি পড়তে এখনও বাকি প্রায় তিনমাস। কৈলাশ থেকে বাপের বাড়ি সপরিবারে আসবে মা দুর্গা, তাও সেই ৯০ দিন পর। কিন্তু তাতে কি? কুমোরটুলিতে এখন থেকেই সাজো সাজো রব। মৃৎশিল্পীরা মা দুর্গাকে বিদায় জানাতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। মর্ত্যে আগমণই হল না দুর্গার। তাহলে আবার বিদায় কিসের? আসলে মা দুর্গা এখন পাড়ি দেবেন বিদেশে।
প্রতিমা তৈরি থেকে সাজগোজ, সব প্রায় শেষের পথে। এই দুর্গা যাবে সুদুর টেক্সাস, বার্সেলোনা, কানাডা। কুমোরটুলি গিয়ে দেখা গেল, সাড়ে ১০ ফুটের একটি দুর্গা প্রতিমা বাক্সবন্দী হয়ে জাহাজে চড়ে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার জন্য তৈরি। মায়ের সঙ্গে তাঁর অলঙ্কার, সাজসজ্জা সবই যাবে। তবে বাক্সবন্দী হয়েই। ফাইবারের এই দুর্গাপ্রতিমা যাচ্ছে বার্সেলোনা, অর্থাৎ লিও মেসির দ্বিতীয় ঘরে। কুমোরটুলির এক মৃৎশিল্পী জানালেন, বিদেশে বাংলার মতো পুজো শেষে বিসর্জন হয় না। মা দুর্গাকে বাক্সবন্দী হয়ে থেকে যেতে হয় আরও কয়েকটা বছর। বিদেশে পুজোর আচার অনুষ্ঠান কিছুটা অন্যরকম।
কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীরা জানাচ্ছেন, ফাইবারের দুর্গা তৈরির খরচ অনেকটাই বেশি। মাটির দুর্গার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। বিদেশে মা দুর্গার যাত্রা পথের সারথী জাহাজ। ৯৫ শতাংশ দুর্গা এইভাবে পৌঁছে যায় বিদেশের মাটিতে। তবে হাতে সময় কম থাকলে মা দুর্গার বাহন বদলে যায়। তখন জাহাজের বদলে উড়ো জাহাজ হয় মা দুর্গার সারথী। ত্রিশূল, নথ, অন্যান্য সাজসজ্জা। মা দুর্গার সজ্জায় খামতি নেই কোনও। এবার দুবাই থেকে অর্ডার এসেছে। দিনরাত এক করে চলছে প্রতিমা প্রস্তুতি। খাতায় কলমে তিন মাস বাকি থাকলেও কুমোরটুলির দম ফেলার দিন ক্রমশই ফুরোচ্ছে।
Discussion about this post