চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে চারটিতেই জয় পেয়েছে তৃণমূল। তবে এই জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই আরও একবার উসকে গিয়েছে চার নব্য বিধায়কের শপথ নিয়ে জটিলতার প্রশ্ন। এবার যাতে কোনওভাবেই এ নিয়ে আর গড়িমসি না হয় তার জন্য সবরকম প্রস্তুতি রাখছে বিধানসভা। জানা যাচ্ছে, চার নতুন বিধায়কের জয়ের বিজ্ঞপ্তি নির্বাচন কমিশন থেকে প্রকাশের পর আগামী সপ্তাহেই তাঁদের শপথ পড়ানোর প্রক্রিয়া শুরুর আবেদন জানিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে চিঠি দেবে পরিষদীয় দপ্তর। চিঠিতে রাজ্যপালকে অনুরোধ করা হবে বিধানসভায় এসে তিনি নিজে শপথ পড়ান, অথবা অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই দায়িত্ব দিন। রাজ্যপাল সে ক্ষেত্রে কোনও ইতিবাচক সাড়া না দিলে বিধানসভায় অধিবেশন ডেকে সেই শপথ পড়িয়ে দেবেন অধ্যক্ষই।
এই নিয়ে বলতে গিয়ে পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘নতুন করে যেন কোনও জটিলতা সৃষ্টি না হয়, সেটাই চাইব।’ জয়ী সদস্যরা বিধায়ক হিসেবে শপথ না নিলে এলাকার কাজ শুরু করতে পারেন না। তাই দ্রুত শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান চাইছে বিধানসভা এবং পরিষদীয় দপ্তর। শপথ সংক্রান্ত চিঠি আগামী সপ্তাহের শুরুতে রাজভবনে পৌঁছে যাবে বলে জানানো হয়েছে। রাজ্যপাল সে ক্ষেত্রে কোনও ইতিবাচক সাড়া না দিলে বিধানসভায় অধিবেশন ডেকে সেই শপথ পড়িয়ে দেবেন অধ্যক্ষই। অধ্যক্ষই যে এক্ষেত্রে শেষ কথা তা উল্লেখ করে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “গোটা দেশে এটাই রীতি। রাজ্যপাল অধ্যক্ষকেই নতুন বিধায়কদের শপথ পড়ানোর দায়িত্ব দেন।” পরে অধ্যক্ষ বলেন, “পরিষদীয় দপ্তরের চিঠির পর রাজ্যপাল কী জানান, তার উপরই নির্ভর করছে এই চারজনের শপথ।
তবে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হলে নির্বাচিত বিধায়কদের শপথগ্রহণ করানোই যায়।” উল্লেখ্য, এক মাস ধরে শপথ গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন রেয়াত হোসেন ও সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দীর্ঘ দিন বিধানসভাতেই ধর্ণা কর্মসূচি চালিয়েছেন তাঁরা৷ রাজভবন ও বিধানসভার মধ্যে কার্যত ঠান্ডা লড়াই চলে শেষ পর্যন্ত বিধানসভাতেই দুই বিধায়ক শপথ গ্রহণ করেছিলেন।রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস চেয়েছিলেন, দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান রাজভবনে হোক। সেই ব্যবস্থাও করা হয়েছিল রাজভবনের তরফে। কিন্তু সায়ন্তিকা চেয়েছিলেন, বিধানসভাতেই তাঁরা শপথ নেবেন। তাই নিয়ে দীর্ঘ এক মাস ধরে জটিলতা চলে। শেষ পর্যন্ত রাজ্যপালকে বাদ দিয়েই দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণ হয়।
Discussion about this post