মাতৃ পক্ষের আগমনীতে ঘোষণা করেছিলেন সম্পূর্ণ কর্ম বিরতির। তারপর সমাজের কপালে পড়েছিল চিন্তার ভাঁজ। জুনিয়র ডাক্তার রা কর্মবিরতি করলে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রায় অচল হয়ে পড়ে যেতে পারে। আর তারপরে সিনিয়র ডাক্তারদের সাথে বৈঠক করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সিনিয়ার ডক্টরদের মতামত ছিল কর্ম বিরতি না করে রাস্তায় আন্দোলন আরো কিভাবে শক্ত করা যায় সেদিকে ভাবনা চিন্তা করার। আর তারপরেই ধর্মতলায় মহা মিছিলের তারা ঘোষণা করেন সম্পূর্ণ কর্ম বিরতি তারা প্রত্যাহার করছেন। এ কথা শুনলে স্বস্তি আসলেও দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে সরকারের। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ২৪ ঘন্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন তারা। এই ২৪ ঘন্টার মধ্যে জুনিয়ার ডাক্তারদের সমস্ত দাবি যদি না মানা হয় তাহলে আমরণ অনশনে করবেন তারা।
যদিও এই অনশনের কথা মনে করিয়ে দেয় বিরোধী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা। ২০০৮ সাল বামা আমলে তিনি ও লাল করে অনশনে বসে ছিলেন। ঠিক সেই পথেই এবার জুনিয়র ডাক্তাররা। এর পাশাপাশি ধর্মতলা দূরীনা ক্রসিং এ অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা করেন। তবে পুজোর শুরুতেই কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে যে সকল রাস্তায় ১৬৩ ধারা লাগু হয়েছে সেই সকল জায়গার মধ্যে ধর্মতলা অন্যতম। আর সেই নিয়ম মেনেই পুলিশ যখন তাদের ওঠাতে যায়, সেই সময় জুনিয়র ডাক্তাররা অভিযোগ করেন পুলিশ তাদের লাথি মেরেছে, শুধু তাই নয় তাদের চেঙ্গ দোলা করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করা হয়েছে।
এরপরেই তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন। এবং সরকারকে ২৪ ঘন্টা সময় বেঁধে দেয় তাদের দাবি পূরণ করার জন্য। দাবির মধ্যে সবথেকে উল্লেখিত দাবি স্বাস্থ্য সচিব কে অপসারণ করা এবং তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা।
এখন প্রশ্ন যদি সরকার দাবি না মেনে নেয় এবং কথামতন যদি অনশনে বসেন ডাক্তারবাবুরা তাহলে ভবিষ্যৎ সময় চিকিৎসার ব্যবস্থা অনেকটাই জটিল সমস্যার সম্মুখীন হবে।
Discussion about this post