কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম বাঙালি বিচারপতি শম্ভুনাথ পণ্ডিতের বাড়িতেই বসত মহিলা চিকিৎসক খুনে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের। দীর্ঘদিন ধরে ওই বাড়িতেই ভাড়া থাকেন সঞ্জয়ের পরিবার। ১৮৬৩ – ১৮৬৭ সাল পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন শম্ভূনাথ পণ্ডিত।
৫৫ বি শম্ভূনাথ পণ্ডিত স্ট্রিট। কলকাতার রাজপথগুলির মধ্যে অন্যতম একটি নাম। কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম বাঙালি বিচারপতি শম্ভুনাথ পণ্ডিত। ১৮৬৩ থেকে ১৮৬৭ সাল পর্যন্ত ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির পদে। স্বনামধন্য বিচারপতি, কলকাতার রাজপথের ধারে সুবিশাল তাঁর বাড়ি। বাড়ির সামনের রাস্তাটি একসময় নামকরণ করা হয়েছিল শম্ভুনাথ পণ্ডিত নামে। এমন নামী বাড়ির নাম এবার জড়িয়ে গেল তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে। জানা গিয়েছে দীর্ঘদিন ধরে ওই বাড়িতেই থাকেন সঞ্জয়। সঞ্জয়কে পুলিশ ধরে নিয়ে গেলেও তাঁর মা আছেন ওই বাড়িতেই।
এক কালে যে বাড়িতে পা পড়েছে বাংলা তথা দেশের নামী – দামি মানুষের। সেই বাড়িই কিনা সঞ্জয় মতো অপরাধীর আশ্রয়। কাকতালীয়ভাবে হলেও এমন ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছেন প্রয়াত বিচারপতির বাড়ির সদস্যরা। কলকাতা পুরসভা আগেই বাড়িটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করেছে। বাড়িটির একাংশ এখন ভাড়াটেদের দখলে। সেখানেই থাকে সঞ্জয়ের পরিবার। ৫৫ বি শম্ভূনাথ পণ্ডিত রোডের হেরিটেজ ভবনের ভাড়াটেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, ভাড়াটেদের মধ্যে সঞ্জয়ের বেশ প্রভাব ছিল। সঞ্জয় নিজেকে পুলিশকর্মী বলে পরিচয় দিতেন।
এদিকে আর জি করের ঘটনায় মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেতা শান্তনু সেনের স্ত্রী কাকলি সেন। যিনি নিজেও আর জি করের প্রাক্তনী। সেইসঙ্গে একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন এরপর তাঁর মেয়েকেও আর জি করে পাঠাবেন কিনা তিনি এই বিষয়ে নিশ্চিত নন। কারণ তাঁর কন্যা সন্তানেরও নাইট ডিউটি পড়ে। অন ডিউটিতে থাকাকালীন তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা এককথায় নাড়িয়ে দিয়েছে সকলকেই।
Discussion about this post