আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ করায় হাওড়ার তিন স্কুলকে শোকজ নোটিশ ধরালো রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর। হাওড়ার বালুহাটি গার্লস হাই স্কুল, ব্যাঁটরা রাজলক্ষ্মী বালিকা বিদ্যালয় এবং হাওড়ার বালুহাটি হাই স্কুলের পড়ুয়ারা যোগ দিয়েছিলো বলে জানিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। এই প্রতিবাদ মিছিলে কেন স্কুলের শিক্ষক এবং পড়ুয়ারা যোগ দিয়েছিল? তার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। ২৩ অগস্ট বিকেলে ওই চিঠি পেয়েছেন হাওড়ার তিনটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শোকজ নোটিসের জবাব না দিলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে। যার প্রতিবাদে ক্ষোভে ফুঁসছে প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাষ্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, “এটা কি ব্রিটিশ শাসন চলছে নাকি? পড়ুয়ারা স্বতস্ফূর্তভাবে কোনও আন্দোলনে যোগ দিলে প্রধান শিক্ষক কীভাবে বাধা দেবেন? তাছাড়া ঘটনাটি তো স্কুল ক্যাম্পাসে ঘটেওনি, ফলে স্কুলের বাইরে পড়ুয়ারা কী করছে, তার দায়িত্ব প্রধান শিক্ষকদের নয়ও। ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যুকে ঘিরে দ্রুত তদন্ত এবং বিচার চেয়ে রাজ্য, দেশ এবং সারা বিশ্বে যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক শিক্ষিকা- শিক্ষাকর্মী তার বাইরে নয়। রাজ্যজুড়ে যে আন্দোলন, অবস্থান, বিক্ষোভ চলছে তা এক কথায় নজিরবিহীন।” অবিলম্বে হাওড়ার ডিআই ওই হুমকি-চিঠি প্রত্যাহার না করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
আর জি কর আন্দোলনের আগুন যখন প্রায় নিবে গিয়েছে, তখন চাকরি বাতিল নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তথা তৃণমূলের বিরুদ্ধে নতুন আন্দোলনের...
Read more
Discussion about this post