চোপড়ার ঘটনায় রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। পুলিশমন্ত্রী তাঁর দায়িত্ব থেকে অপারগ। বললেন রাজ্যপাল। যে সমাজ মহিলাদের রক্ষা করতে পারে না, সেই সমাজ সভ্যসমাজ বলে গণ্য হয় না। দাবি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের। প্রকাশ্য রাস্তায় পড়ে রয়েছেন এক তরুণী। পাশেই উবু হয়ে বসে রয়েছেন এক তরুণ। তাঁর শরীরী ভাষায় স্পষ্ট এর পরে তাঁরই পালা।
আচমকা তরুণীকে রাস্তায় ফেলে একছড়া কঞ্চি দিয়ে বেধড়ক মারতে শুরু করলেন এক যুবক। যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যাচ্ছেন তরুণী। চিৎকার করছেন। চারিপাশে ঘিরে থাকা লোকজনের মধ্যে কেউ একটিবারের জন্যও এগিয়ে এল না। কেউ তরুণীর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন না।গত ২ দিন ধরে এই ছবি টিভির ক্যামেরায় ফুটে উঠেছে বার বার। মিডিয়ায় পরিচিতি পেয়েছে চোপড়ার ঘটনা নামে। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে আইনের দ্বারস্থ না হয়ে সালিশি সভায় তরুণীর এমন পরিণতি চরম অমানবিক, চরম অপরাধ। রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী তাঁর দায়িত্ব থেকে অপারগ। চোপড়ার ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা রাজ্যপালের। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি পুলিশমন্ত্রীও মমতা।
রবিবারই চোপড়ার লক্ষ্মীপুরে হওয়া একটি ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই মহিলা বিবাহিত। তবে তিনি এক ব্যক্তির সঙ্গে ঘর ছাড়েন। পরে ফিরে এলে তাঁদের কাছে ১০ হাজার টাকা জরিমানা চাওয়া হয়। টাকা না দিতে পারায় রাস্তায় ফেলে মারধর শুরু হয়। ছড়ি হাতে যুবক পরিচিত তাজমুল ইসলাম ওরফে জেসিবি নামে। চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের ঘনিষ্ঠ বলেই স্থানীয় লোকেরা তাঁকে জানেন। ওইদিন সন্ধ্যেবেলাতেই গ্রেফতার হন তাজমুল। সোমবার তাকে পাঁচ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দাবি করেন, পুরো নরক খালি হয়ে গিয়েছে। কারণ শয়তানের দল সব এখানেই উঠে এসেছে। বন্দুকের নলই কথা বলছে।
এই ছবি যে রাজ্য সরকারের কাছে বেশ অস্বস্তিদায়ক হয়ে উঠেছে তা স্পষ্ট। ঘটনাটি নিয়ে সমালোচনা শুরু হতেই গ্রেফতার হয়েছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তাজমুল ইসলাম। তবে এই ঘটনা প্রমাণ করে দেয় বাংলায় শাহজাহান এক নয় একাধিক। একজন রাজনৈতিক দলের কর্মী ও নেতা কতটা বেপরোয়া হলে আইন-শৃঙ্খলা, পুলিশ থাকা সত্ত্বেও এমন কাজ করতে পারেন তা দিনের আলোর মতো পরিস্কার। আইন রয়েছে খাতায় কলমে,
Discussion about this post