রাজ্য এবং রাজ্যপাল সংঘাত নতুন মাত্রা পেল। রাজভবন সূত্রের খবর, এবার তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য পুলিশ এবং রাজ্য প্রশাসনের এক হামলার বিরুদ্ধে দিল্লির কর্মী বর্গমন্ত্রকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানালন তিনি। পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখাপাধ্যায়কে সরানোর সুপারিশ করে ডিওপিটিকে চিঠি দিলেন রাজাপাল সি ভি আনন্দ বোস। সংবিধানের ৩৬১ নম্বর ধারা অনুয়াযী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করা যায় না। কিন্তু তারপরও কলকাতা পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে পুলিশ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তথ্যানুসন্ধান করেছে। ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ও শ্লীলতাহানির অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্যানুসন্ধান করেছেন। রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপাল মনে করছেন তাঁর বিরুদ্ধে এই তথ্যানুসন্ধান সংবিধান লঙ্ঘন করে। এই মর্মে রাজধানী দিল্লিতে কেন্দ্রের কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতরে তিনি চিঠিও পাঠিয়েছেন বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
রাজভবনের ওই অস্থায়ী মহিলা কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে যথেষ্ট শোরগোল পড়ে গিয়েছিল বাংলার রাজনৈতিক মহলে। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই মহিলা। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি টিম গঠন করে অনুসন্ধান শুরু করেছিল কলকাতা পুলিশ। যদিও সেই অনুসন্ধানের প্রেক্ষিতে লালবাজার থেকে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, এটি কোনও ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে তদন্ত নয়, একটি নির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এদিকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও সাধারণ মানুষকে ডেকে রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পুলিশ ছাড়া যে কেউ সেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে আসতে পারেন। যদিও পরবর্তী সময়ে সেই ফুটেজ হাতে পেয়েছিল পুলিশ।
Discussion about this post