দিন দিন বাড়ছে মাম্পস ভাইরাসের সংক্রমণ।গত কয়েক সপ্তাহে অনেক জায়গায় সংক্রমণ দেখা দিয়েছে।এই ভাইরাসে দিল্লির পরিস্থিতি বেশ আশঙ্কাজনক।শুধু রাজধানী নয় , অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা,তামিলনাডু, রাজস্থানেও ছড়িয়েছে এই ভাইরাস।মাম্পস এর বার বাড়ন্ত হওয়ার আগেই এর ব্যাপারে সতর্ক হওয়া দরকার।এই ভাইরাসের সম্বন্ধে খুঁটিনাটি জেনে রাখা ভালো।আসুন আজকের প্রতিবেদনে বিশদে জানাই।
প্রথমেই জানব
মাম্পস ভাইরাস আসলে কী ?
তীব্রভাবে সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম একটি ভাইরাস হল মাম্পস।শিশু থেকে বয়স্ক যে কেউ এর শিকার হতে পারেন।বর্তমানে ভারতে মাম্পস আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৫ হাজার।যা রীতিমতো ভয় ধরাচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে। দিল্লির অবস্থা বেশ সংকটজনক বলে মনে করা হচ্ছে।
শরীরের কোন অঙ্গে হয় ?
মূলত লালা গ্রন্থিকে আক্রমণ করে এই ভাইরাস।এছাড়া এটি কানের নিচে থাকা প্যারোটিড গ্রন্থিগুলিকেও আক্রমণ করে মাম্পস।
এই ভাইরাস কীভাবে ছড়ায় ?
হাঁচি, কাশির মাধ্যমে ছড়ায় মাম্পস।এই ভাইরাস জড় পদার্থের ওপর বেশ কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত থাকতে পারে।এর দরুন একাধিক শারীরিক সমস্যা হতে পারে।
শুক্রাশয় ও ডিম্বাশয়ে প্রদাহ সৃষ্টি করে মাম্পস।এছাড়া মস্তিষ্কের বাইরের আবরণ মেনিনজেসে প্রদাহ সৃষ্টি করে। যাকে মেনিনজাইটিস বলা হয়।বধিরত্বের অন্যতম কারণ হতে পারে মাম্পস সংক্রমণ।
মাম্পস ভাইরাসের লক্ষন
ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার ১৬-১৭ দিনের মাথায় লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে।এই ভাইরাসের ইনবকিউবেশন পিরিয়ড ১০ থেকে ২৫ দিন পর্যন্ত হতে পারে।বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই রোগের কোনও লক্ষণ দেখা দেয় না।
তবে সামান্য কিছু লক্ষণের মধ্যে দেখা দিতে পারে মাথা ব্যথা, জ্বর, ক্লান্তি, খিদে কমে যাওয়া ইত্যাদি।এছাড়া, চোয়ালের নিচ ফুলে যায়।খেতে ও কথা বলতে অসুবিধা হয়।
রোগ প্রতিরোধের উপায়
আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখা উচিত।কারন সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সঠিক সময়ে টিকা নিলে এর থেকে মুক্তি মেলে।পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা উচিত। আক্রান্ত ব্যক্তির এই সময় মুখে মাস্ক পরেই থাকা উচিত।
Discussion about this post