প্রাপ্তবয়স্ক ও বয়্স্ক ব্যক্তিরা নিজের ক্ষমতা ও যোগ্যতা অনুযায়ী নিজেদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখেন। কিন্তু বড়দের মতো বাচ্চারা সেই খেয়াল রাখতে পারেনা।সারাদিন আপনার সন্তান বইতে মুখ গুঁজে বসে আছে, এই অভ্যাসটা কিন্তু ঠিক নয়।পড়াশুনার সাথে সাথে তাদের শারীরিক ও মানসিক খেয়াল রাখাটাও যথেষ্ট প্রয়োজন।শরীর সুস্থ রাখতে ব্যায়াম করা জরুরি, তা শিশুদের শরীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ রাখে। কিন্তু বেশিরভাগ অভিভাবকরা এ বিষয়ে বিশেষ চিন্তাভাবনা করেন না। অপরদিকে ছোট বাচ্চারাও ব্যায়াম করতে ইচ্ছুক হয়না।তাই নিয়মিত খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুদের শরীরিক ও মানসিক বিকাশ হয়।
১)দৌড়:
বছরে একটা দিন স্কুলের ক্রিড়া প্রতিযোগিতায় দৌড়ে কোনও স্থান অধিকার করতে পারল না বলে, খুদেকে বকাবকি করার প্রয়োজন নেই। বরং সারা বছর অল্প অল্প করে দৌড়নো অভ্যাস করাতে পারেন। তাতে ফিটনেস বজায় থাকবে আর দৌড়নোর অভ্যাসও গড়ে উঠবে।
২) সাইক্লিং:
শরীর এবং মন— দু’টিই ভাল থাকে সাইকেল চালালে। ইদানীং শরীরচর্চার মাধ্যম হিসাবে সাইক্লিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শিশুদের মধ্যে স্থূলত্ব, টাইপ ২ ডায়াবিটিস-এ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রোধ করা যাবে, যদি নিয়মিত অন্তত আধঘণ্টা সাইকেল চালানো যায়। এ ছাড়া দেহের নিম্নাঙ্গ সচল রাখতে, পেট-কেমর-ঊরুর মেদ ঝরাতে এই ব্যায়াম বেশ কার্যকর।
৩) সাঁতার:
রক্ত সঞ্চালন থেকে শুরু করে গোটা শরীরে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্বাভাবিক রাখতে সাঁতার কিন্তু দারুণ কাজের। ছোট থেকে সাঁতার কাটা অভ্যাস করলে বয়ঃসন্ধির সমস্যাগুলি সহজেই এড়িয়ে চলা যায়। হরমোন ক্ষরণে সমতা রক্ষা করতেও সাহায্য করে এই ব্যায়াম। এ ছাড়া প্রাপ্তবয়স্কদের কার্ডিয়োভাসকুলার রোগ সংক্রান্ত জটিলতা, শরীরের নমনীয়তা স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে সাঁতার।
Discussion about this post