প্রতিটি দফার ভোটের পরই কত শতাংশ ভোট পড়েছে তার একটা হিসেব জানায় নির্বাচন কমিশন। এর তিন-চারদিন পর পাওয়া যার আরেকটা হিসেব। আর দেখা যাচ্ছে, প্রতিবারই সেই শতাংশের হিসেব বেড়ে যাচ্ছে কিছুটা। যা নিয়ে সরব হয়েছে ভারতের সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলই। প্রথম চার দফার ভোটের পর নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে যে ভোটের হার জানিয়েছিল, দিন কয়েক পরই সেই হার পাল্টে যায় কমিশনের তথ্যে। এবং এই ফারাক প্রায় ১ কোটি ৭ লক্ষ ভোটের। অর্থাৎ প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় ২৮ হাজার ভোটের ফারাক দেখা যাচ্ছে। কেন এত ফারাক হচ্ছে কমিশনের তথ্যে, সেটা নিয়েই এবার সরব হল কংগ্রেস।
ভোটের হারের এই অসঙ্গতি নিয়ে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। যার শুনানি হতে পারে আগামী শুক্রবার। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে এই সংক্রান্ত হলফনামা জমা দিতে বলেছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সেই হলফনামা দেশের সর্বোচ্চ আদালতে জমা দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই আবহেও কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের বিস্ফোরক দাবি, যেখানে বিজেপির সংগঠন দূর্বল, সেখানেই ভোটের হারের ফারাক দেখা যাচ্ছে। জয়রাম রমেশের প্রশ্ন, যে সব রাজ্যে বিজেপির আসন হারানোর সম্ভাবনা বেশি, সেখানে প্রাথমিক এবং চুরান্ত ভোটের হারের মধ্যে অসঙ্গতি সবচেয়ে বেশি। এসব কী হচ্ছে?
দেশের সর্বোচ্চ আদালতও এই বিষয়ে জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। কমিশনও হলফনামা আকারে জবাব দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। তাতে কমিশন জানিয়েছে, ভোটার টার্ণআউট বা কত ভোট পড়ল, সেই তথ্য নির্বাচনের প্রার্থ্রী এবং প্রার্থীর এজেন্ট ছআড়া অন্য কাউকে জানানোর আইনি নির্দেশ নেই। ফলে কোন ভোটগ্রহন কেন্দ্রে কত ভোট পড়ল, সেটা প্রকাশ করা সম্ভব নয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষে। এই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও আইনি সংস্থান নেই। কমিশন আরও জানিয়েছে, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, ভোট গ্রহনের পর কত ভোট পড়েছে সেই সম্বলিত তথ্য ১৭সি ফর্ম শুখুমাত্র প্রার্থী এবং তাঁর এজেন্টের হাতেই দেওয়ার নিয়ম। নির্বাচন কমিশন ভোটার টার্ণআউট বা ভোটের সংখ্যা কোনও অ্যাপ, ওয়েবসাইট বা প্রেস রিলিজের মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারে না।
Discussion about this post