সম্পন্ন হল লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে মিটল অষ্টাদশ নির্বাচনের ভোট পর্ব।বিক্ষিপ্তভাবে কিছু অশান্তির ঘটনা ঘটলেও মোটের উপর বাংলার ভোট ছিল শান্তিপূর্ণ। এদিন ভোটদানের হারেও দেশের বাকি রাজ্য থেকে এগিয়ে থাকল বাংলা। ত্রিপুরাকে দ্বিতীয় স্থানে ঠেলে দিয়ে, বাংলায় ভোট দানের হার ৭৭.৬ শতাংশ। বিকেল ৫ টা পর্যন্ত বাংলার কোন রাজ্যে কত শতাংশ ভোট পড়ল একনজরে একবার দেখে নেব
বাংলার ৩ জেলায় ভোট (৫ টা পর্যন্ত)
কোচবিহার – ৭৭.৭৩ %
আলিপুরদুয়ার- ৭৫.৫৪ %
জলপাইগুড়ি- ৭৯.৩৩ %
গত বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহারের কেন্দ্রীয় জওয়ানদের গুলিতে শীতলকুচিতে মৃত্যু হয় ৪ জনের। বাংলার প্রথম দফার নির্বাচনে শুরুতেই সেই ঘটনার কথা উঠে আসছিল বার বার। রাজার শহর কোচবিহারে ভোটের আগে থেকেই বার বার অশান্তিতে জড়িয়েছেন বিজেপির নিশীথ ও তৃণমূলের উদয়ন। দুই মন্ত্রীকে প্রকাশ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে তেড়েও যেতে দেখা গিয়েছে। ভোটের মুখে এমন ঘটনার প্রেক্ষাপটে বড়সড় অশান্তির আশঙ্কাকে একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছিল না। তাই শুরু থেকে প্রত্যেকটি বুথে কেন্দ্রীয়বাহিনীর উপস্থিতিতে হয় ভোট। ওয়েব কাস্টিংয়েরও ব্যবস্থা রাখা হয়। মোট কথা নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বদ্ধ পরিকর ছিল কমিশন
নির্বাচনের শেষে শাসকদলকেও সর্বোতভাবে প্রশাসনের সহযোগিতার দাবি তোলেন তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা। অভিযোগ নয়, রাজ্যের শাসকদলের গলাতেও শোনা যায় ভোট তুষ্ঠির সুর। দু একটা যে বিক্ষিপ্ত অভিযোগ উঠে আসে তারও ব্যাখা দেন শাসকদলের নেত্রী।
গত লোকসভা ভোটে রাজ্যের শাসকদলের হাত থেকে ৩ টি আসন ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। দক্ষিণের ভোটে দুই যুযুধান শিবিরের মিশ্র প্রভাব দেখা গেলেও পাহাড় হতাশ করেনি গেরুয়া শিবিরকে। কাজেই বিজেপির কাছে এই লড়াই ছিল ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াই অন্যদিকে তৃণমূলের কাছ ছিল আসন পুনরুদ্ধারের লড়াই। এই হাড্ডাহাড্ডির লড়াই ফুটে ওঠে ভোট পর্ব শেষ হতেই। ইভিএম স্ট্রংরুমে পৌছানোর আগেই দুই দলের তরফে বিজয় মিছিল বার করা হয়। আবির খেলে, মিষ্টি মুখ করে নিজেদের জয়ের শিলমোহর দিয়ে দেয় দুই পক্ষই। আগামী ৪ ঠ জুন ভোটের ফল। সেদিন কার পাশে মানুষ দাঁড়ায় সেদিকে তাকিয়ে রাজ্যবাসী
বাংলায় জনসংখ্যার বিপজ্জনকভাবে রূপান্তর হচ্ছে। দশ বছরে ৪৬টি বিধানসভা এলাকায় ভোটার সংখ্যা ৪০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। এর মধ্যে ৭টি আসনে...
Read more
Discussion about this post