শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট থেকে পাঁচ শর্তে অন্তর্বর্তী জামিন পাওয়ার পর সন্ধ্যায় তিহাড় জেল থেকে বের হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শনিবার সকাল থেকেই তিনি নেমে পড়লেন রাস্তায়। প্রথমে পুজো দিলেন হনুমান মন্দিরে, এরপর ফুলফর্মে করলেন সাংবাদিক সম্মেলন। সেখানেই তিনি পুরোদমে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ওই সাংবাদিক সম্মেলনেই তিনি বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপির বিরুদ্ধে। বললেন, এবার লোকসভায় জিতলেই সোদি জেলে ভরবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এম কে স্তালিন, উদ্ধ্বব ঠাকরে, পিনরাই বিজয়নের মতো বিরোধী নেতাদের।
৫০ দিন পর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল খড়গহস্ত হলেন বিজেপির বিরুদ্ধে। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতেই বললেন, ৫০ দিন পর আপনাদের মাঝে এসে আমি আপ্লুত। তিনি দাবি করেন, বজরংবলীর আশির্বাদেই এই চমৎকার হল। এরপরই তিনি বিজেপিকে সরাসরি আক্রমণ করতে শুরু করেন। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, মাত্র ১০ বছরের পুরোনো একটি ছোট পার্টিকে নষ্ট করে দিতে প্রধানমন্ত্রী কোনও কসুর করেননি। একসঙ্গে সেই দলের চারজন শীর্ষ নেতাকে জেলবন্দি করেছেন। যাতে দলটাই উঠে যায়। তবে তিনি যতই আম আদমি পার্টিকে খতম করার চেষ্টা করুন, আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে বেড়ে উঠছি। কেজরিওয়ালের আরও দাবি, আগামীদিনে আম আদমি পার্টিই বিজেপিকে কেন্দ্রে চ্যালেঞ্জ জানাবে, তাই বিজেপির এই ষড়য়ন্ত্র।
এরপরই তাঁর কথায় উঠে আসে দেশের অন্যান্য বিরোধী নেতা-নেত্রীদের নাম। কেজরিওয়াল বলেন, দেশজুড়ে এক ভয়ঙ্কর মিশন চালু করেছে বিজেপি। মিশনের নাম ওয়ান নেশন ওয়ান লিডার। কেজরিওয়ালকে জেলে পাঠিয়ে মোদি প্রমান করেছেন যে সবাইকে জেলে পাঠানো সম্ভব। এরপরই তাঁর বিস্ফোরক দাবি, লিখে রাখুন, এবার লোকসভা ভোটে জিতলে জেলে থাকবেন মমতা দিদি। জেলে থাকবেন তেজস্বী, জেলে থাকবেন স্ট্যালিন, জেলে থাকবেন উদ্ধ্বব, জেলে থাকবেন পিনরাই বিজয়ন। কেজরিওয়ালের এই বক্তব্যের পরই দেশজুড়ে প্রতিক্রিয়া সামনে আসছে।
Discussion about this post