করোনার টিকা নেওয়ার পর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে যে শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছিল তাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি থাকা নিয়ে দেশজুড়েই বিতর্ক হয়েছিল। বিরোধীদের প্রশ্ন ছিল, সরকারি টাকায় জনপ্রিয়তা অর্জনের উদ্দেশ্যেই সরকারি শংসাপত্রে নিজের ছবি ছাপিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বারবার ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটে মোদির ছবি থাকা নিয়ে সরব হয়েছিলেন। এত বিতর্কের পরও করোনা টিকার শংসাপত্র বা সার্টিফিকেট থেকে সরেনি মোদির ছবি।
কিন্তু লোকসভা ভোটের আবহে তা হল। করোনা টিকার শংসাপত্র থেকে আচমকাই সরে গেল নরেন্দ্র মোদির ছবি।
জানা যাচ্ছে, লোকসভা ভোট চলাকালীন করোনা টিকার শংসাপত্রে নরেন্দ্র মোদির ছবি থাকা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এরপরই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নেয়, এবার বিতর্ক এড়াতে ওই সার্টিফিকেট থেকে প্রধানমন্ত্রীর ছবি সরিয়ে দেওয়া হবে। আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি মেনেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। উল্লেখ্য, এর আগে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও করোনা টিকার সার্টিফিকেট থেকে মোদির ছবি সাময়িকভাবে সরানো হয়েছিল।
তবে অপর একটি মহল দাবি করছে, করোনার কোভিশিল্ড টিকা নিয়ে অভিযোগ সামনে আসছে তার পরই রাতারাতি সার্টিফিকেট থেকে রাতারাতি মোদির ছবি সরিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সোশাল মিডিয়ায় একাধিক ব্যক্তি এই অভিযোগ এনেছেন। করোনা টিকার সংশাপত্রে মোদির ছবির নিচে একটি ছোট্ট বার্তা ছিল “আমরা একসঙ্গে করোনাকে হারাব”। এখন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করলে দেখা যাচ্ছে সেই বার্তা যথাস্থানে থাকলেও নেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি।
Discussion about this post