ভাবাচ্ছে কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। কয়েকদিন আগেই কোভিশিল্ড টিকার এক বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের তৈরি কোভিশিল্ড টিকা থেকে TTS বা থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপিনিয়া সিনড্রোম দেখা দিচ্ছে। এই সিনড্রোমের জেরে রক্তবাহের মধ্যে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। এরপরই প্লেটলেট কমতে থাকে। এই এই অভিযোগ সামনে আসতেই আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি অভিযোগটি স্বীকার করে নিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
তারা জানিয়েছে, খুবই বিরল ক্ষেত্রে TTS দেখা দিতে পারে। তবে সব ক্ষেত্রে না। এই স্বীকারোক্তির পরই বিশ্বব্যাপি শোরগোল পড়ে যায়। সম্প্রতি অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এরপরই বাজার থেকে সমস্ত কোভিড টিকা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। বিশ্বব্যাপী বাজার জুড়ে ভ্যাক্সজেভরিয়া কোভিশিল্ড-সহ অন্যান্য আরও যা করোনা টিকা রয়েছে, তা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। সংস্থার তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পুরনো প্রতিকারের বিকল্পে তারা নতুন ভ্যাকসিন বাজারে নিয়ে আসবে। উল্লেখ্য, কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনটি যৌথভাবে তৈরি করেছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ভারতে এই টিকা উৎপাদন করেছিল পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট।
এই মুহূর্তে বিশ্বের যে সমস্ত দেশে এই টিকা উৎপাদন করা হত, সেই সমস্ত জায়গা থেকেই তা বন্ধ করে দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে ভারতও। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কোভিসিল্ড ভ্যাকসিন নেওয়ার পর যে সার্টিফিকেট দেওয়া হয় তাতে প্রধানমন্ত্রীর ছবি না থাকায় দ্বন্দ্বে পড়েছিল ভারতীয়রা। এই ভ্যাকসিন আদেও বৈধ কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। যদিও পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, লোকসভা নির্বাচনের জেরে যাতে আদর্শ আচরণবিধির ভঙ্গ না হয় তাই প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে কেন্দ্র।
Discussion about this post