বেশি দিনের ঘটনা নয়, ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে লাদাখের প্যাংগং হ্রদের উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব অংশে চিনা সেনার অগ্রাসন ঘিরে শুরু হয়েছিল সংঘাত। যা দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে পৌঁছয়। এরপর থেকেই দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্কে তিক্ততা বাড়তে থাকে। ভারতের অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই চিনের লালফৌজ ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ছে অথবা ভারতের কোনও ভূখণ্ড নিজেদের বলে দাবি করছে চিন। এবার একই অভিযোগ ঘিরে প্রতিবাদ জানাল ভারত। সম্প্রতি এক উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের শাকসগাম উপত্যকায় রাস্তা এবং অন্যান্য পরিকাঠামো নির্মান করছে চিন। যা লাদাখের বিতর্কিত সিয়াচেন হিমবাহ থেকে খুবই কাছে।
সূত্রের খবর, সিয়াচেন হিমবাহের পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত শাকসগাম উপত্যকায় চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি বা লালফৌজ রাস্তা ও সুরঙ্গ নির্মান করছে। নানান উপগ্রহ চিত্রে এই দৃশ্য ধরা পড়েছে। এই খবর সামনে আসার পরই ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শুক্রবারই ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, চিন আসলে বাস্তবের তথ্য পাল্টানোর চেষ্টা করছে। আমরা এই ধরণের বেআইনি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে চিনের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছি। শাকসগাম উপত্যকা ভারতের অংশ বলেও দাবি করেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। ভারত পুরো বিষয়ের দিকে কড়া নজর রাখছে।
প্রসঙ্গত, কারাকোরাম ওয়াটারশেডের ৫,২০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা শাকসগাম উপত্যকা বা শাকসগাম ট্র্যাঙ্ক নামে পরিচিত। ১৯৪৭ সাল থেকে এই এলাকা পাকিস্তানের দখলে থাকলেও পরবর্তী সময় তা চিনকে হস্তান্তর করে পাক সরকার। কিন্তু শাকসগাম উপত্যকাকে ভারত বরাবরই জম্মু এবং কাশ্মীরের অংশ বলেই দাবি করে। উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে, ওই উপত্যকায় চিনা সেনা রাস্তা ও সুরঙ্গ তৈরি করছে। যা শাকসগাম উপত্যকা হয়ে আরও নিচের দিকে গিয়েছে। এই নির্মান সিয়াচেন হিমবাহের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে হচ্ছে, যা ভারতীয় ভূখণ্ড। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এই নির্মানের প্রতিবাদ জানালেও চিনের তরফে এখনও কোনও সরকারি বিবৃতি আসেনি।
Discussion about this post