১৭ ই এপ্রিল, বুধবার রামনবমী। রামনবমী উপলক্ষ্যে সেজে উঠছে রাম জন্মভুমি অযোধ্যা। ২২ শে জানুয়ারী রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম রাম নবমী উৎযাপন হতে চলেছে অযোধ্যায়। তাই এইদিন নবমী উপলক্ষ্যে বিশেষভাবে পুজিত হবেন ৬ বছর বয়সী রামলালা। তারই শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি জোর কদমে চলছে অযোধ্যায়। ২২ শে জানুয়ারী মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন থেকেই ভক্তদের জন্য উন্মুক্ত হয়েছিল মন্দিরের প্রবেশদ্বার। পাশাপাশি, এই নবমী উৎযাপনকে বিশেষ করে তুললতেই এলাহী আয়োজন করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায়।
একইসঙ্গে ফৈজাবাদ জেলা প্রশাসন ও উত্তরপ্রদেশ সরকার রামনবমীর বিশেষ পুজো উপলক্ষ্যে দর্শনার্থীদের জন্য ১৬, ১৭ ও ১৮ই এপ্রিল ২০ ঘন্টার জন্য মন্দিরের দরজা খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনও দেবরাহা হংস ট্রাস্টের পক্ষ থেকে শ্রী রামলালাকে উৎসর্গের জন্য পাঠানো হয়েছিল ৪০ হাজার কেজি লাড্ডু। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। রামনবমীর বিশেষ পুজো উপলক্ষ্যে শ্রী রামলালাকে উৎসর্গের জন্য দেবরাহা হংস ট্রাস্টের তরফে পাঠানো হবে ১ লাখ ১১ হাজার ১১১ কেজি লাড্ডু। এই লাড্ডু শ্রীরামকে উৎসর্গের পর প্রসাদ হিসাবে ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। মন্দির সূত্রে খবর, শুধু ভক্তই নয়, শ্রী রামের এই প্রসাদ পাঠানো হবে কাশি বিশ্বনাথ মন্দির, তিরুপতি বালাজি মন্দিরেও।
একইসঙ্গে, রামনবমীর দিন ঠিক দুপুর ১২ টা নাগাদ রামলালার কপালে এসে পড়বে সূর্যের রশ্মি। এই রশ্মিই রামলালার কপালে এঁকে দেবে সূর্যতিলক। প্রতিবছরই রামনবমী উপলক্ষ্যে সরাসরি শ্রী রামের কপালে তিলক এঁকে দেবেন সূর্যদেব। চার মিনিটের জন্য শ্রী রামের কপালে এই সূর্য তিলক স্থায়ী থাকবে। শিহরণ জাগানো এই ঘটনার ঘটানোর নেপথ্যে রয়েছে বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও গবেষণা। রামলালার এই সূর্যতিলক স্থায়িত্বের ঘটনার সাক্ষী থাকতে সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করেছে প্রসার ভারতী।
যে কারণে অযোধ্যায় বসেছে ১০০ টিরও বেশি LED স্কিন । যেহেতু এই প্রথম রামনবমীর পুজো হতে চলেছে রাম জম্নভুমি অযোধ্যায়, তাই ওইদিন ভক্ত সমাগম ৪০ লাখ ছড়াতে পারে বলে অনুমান মন্দির কর্তৃপক্ষের। অন্যদিকে, মন্দিরে দর্শনার্থীদের মোবাইল ফোন আনাতেও নির্দেশিকা জারি করেছে রাম মন্দির ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই নয়াঘাট, নাগেশ্বরনাথ, হনুমানগড়ী মন্দির, কণক ভবন মন্দির এই জোনগুলি কড়া নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। রাম নবমীর উপলক্ষ্যে অযোধ্যায় মেলা শুরু হয়েছে গত ৯ই এপ্রিল থেকে , যা শেষ হবে ১৭ ই এপ্রিল অর্থাৎ পুজোর দিন।
নিরাপত্তা নিয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অন্যান্য আধিকারিকদেরও সতর্ক থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, পুলিশ ছাড়াও অযোধ্যা স্বাস্থ্য বিভাগ, পুর কর্পোরেশন ও শহরের বিদ্যুৎ বিভাগকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। যাতে যথাযত বিভাগ ঠিক মত দায়িত্ব পালন করতে পারে।।
Discussion about this post