রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। তিনি সাংবিধানিক প্রধান।শ্লীলতাহানির অভিযোগকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চাপানউতোর। গত ২ মে রাজ্যপালের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে যৌন হেনস্তার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে এক তরুণী। এই ঘটনায় লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা যায় না। তবে মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে খোঁজ খবর করা হচ্ছে যদি অভিযোগের সত্যতা মেলে তখন উচ্চতর কর্তৃপক্ষের পরামর্শ নেওয়া হবে।’ কিন্তু কেন? কোন আইনে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা যায় না? জানেন কোন রক্ষাকবচে ‘সুরক্ষিত’ রাজ্যপাল? সংবিধানের ৩৬১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, প্রতিটি রাজ্যের রাজ্যপালেদের বিশেষ সুরক্ষাকবচ থাকে। যার ফলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনওরকম অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় না। কোনও আদালতের কাছে তাঁরা জবাবদিহি করেন না। এমনকী, তাঁদের অভিযুক্ত হিসেবেও চিহ্নিত করা যায় না।
কী কী বিশেষ ক্ষমতা ভোগ করেন রাজ্যপালেরা? আসুন জেনে নিই।
১. পদে থাকাকালীন কোনও রাজ্যের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি প্রক্রিয়া চালানো যাবে না।
২. কোনও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তদন্ত করা যাবে না। এমনকী, তাঁকে অভিযুক্ত হিসেবেও উল্লেখ করা যাবে না।
৩. রাজ্যপালের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা বা জেল হেফাজতের রায় দিতে পারবে না কোনও আদালত।
৪. পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত প্রক্রিয়া চালাতে পারে।
৫. নিজের কার্যক্ষমতা বা সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্যপাল কারও কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য নন।
তবে তদন্তের পর যদি অভিযোগ সত্যিই হয় তাহলে প্রশাসন উচ্চতর কর্তৃপক্ষের থেকে পরামর্শ নিতে পারে।
২০২৪ সালের ৫ জুন, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন দুই মহাকাশ যাত্রী। বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানে চড়ে মহাকাশের উদ্দেশ্যে রওনা...
Read more
Discussion about this post